সিসি ক্যামেরা ছাড়া রাজ্য সরকারের আরোপ করা যাবতীয় শর্ত মানতে অবশেষে রাজি হল উবের। সম্প্রতি এই কথা জানিয়ে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে লাইসেন্স পাওয়ার আবেদন জানিয়েছে উবের।
২০১৬ সালের শুরুতে ওলা, উবেরের মতো সংস্থাগুলির উপরে বেশ কিছু শর্ত আরোপ করেছিল রাজ্য সরকার। কথা ছিল, ওই শর্ত পূরণ করলে তবেই সংস্থাগুলিকে লাইসেন্স দেওয়া হবে। এর মধ্যে অন্যতম শর্ত হল, প্রত্যেক সংস্থাকে সরকারের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। শহরে একটি অফিস এবং ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম তৈরি করতে হবে। প্রতি দু’বছর অন্তর লাইসেন্স নবীকরণ করাতে হবে। এ ছাড়াও, গাড়িতে বাধ্যতামূলক ভাবে সিসি ক্যামেরার নজরদারি, জিপিএস পরিষেবা এবং ‘ফিজিক্যাল প্যানিক বাটন’ রাখতে হবে।
প্রাথমিক ভাবে সরকারের আরোপ করা শর্ত মানতে কিছু সময় প্রয়োজন বলে জানিয়েছিল সংস্থাগুলি। সেই মতো গত ১৫ জুন পর্যন্ত সময় দেয় সরকার। কিন্তু তার পরেও সংস্থাগুলির তরফে ফের সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি করা হয়। বিশেষত, সিসি ক্যামেরা বসানোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা হচ্ছে বলে জানায় সংস্থাগুলি। এর পরেই সংস্থাগুলিকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অস্থায়ী লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ওই সময়সীমার মধ্যে সব শর্ত মানা হলে তবেই দু’বছরের জন্য সংস্থাগুলিকে স্থায়ী লাইসেন্স দেওয়ার কথা ছিল। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ওলা ফের লাইসেন্সের আবেদন জানালে তা মঞ্জুর করে সরকার। কিন্তু উবের লাইসেন্সের আবেদন না জানিয়ে সরকারের নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়। সরকার আরোপিত শর্তের মধ্যে সিসি ক্যামেরা এবং ‘ফিজিক্যাল প্যানিক বাটন’ লাগানোয় আপত্তি ছিল উবেরের।
পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত অস্থায়ী লাইসেন্স দেয় সরকার। পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘গত সপ্তাহে উবেরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সিসি ক্যামেরা ছাড়া বাকি সব শর্তই মানতে তারা রাজি। বিষয়টি বিবেচনা করে আমাদের লাইসেন্স দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছে উবের।’’ তবে ওই কর্তা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে সরকার কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। যদিও পরিবহণ দফতরের একাংশের কর্তাদের মতে, ওলা লাইসেন্স পেলেও এখনও পর্যন্ত সিসি ক্যামেরা বেশির ভাগ গাড়িতেই লাগায়নি। তা ছাড়া, সিসি ক্যামেরা লাগানো নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। ফলে, শেষমেশ সরকার সিসি ক্যামেরার শর্ত ছাড়াই লাইসেন্স দিয়ে দিতে পারে বলে আশাবাদী উবের-কর্তারা।