West Bengal Urban Birth Control Rate

জন্মহার কমানোর দৌড়ে এগো‌চ্ছে বাংলা, শহরাঞ্চলের পরিসংখ্যানে দেশের মধ্যে রয়েছে প্রথম স্থানে

‘রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া’র সদ্য প্রকাশিত রিপোর্ট জানাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের শহরাঞ্চলে জন্মহার ১১। যা দেশের রাজ্যগুলির মধ্যে সর্বনিম্ন। সামগ্রিক ভাবে জন্মহার ১৪। কম জন্মহারের তালিকায় পঞ্চম স্থানে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২১:৩৯
Share:

ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।

জন্মহার কমছে গোটা দেশ জুড়েই। আর যে সব রাজ্য জন্মহার নিয়ন্ত্রণের সামনের সারিতে, তাদের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। সরকারি সমীক্ষাতেই এই তথ্য উঠে এসেছে। ‘রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া’র দফতরের সদ্য প্রকাশিত রিপোর্ট জানাচ্ছে, বাংলার শহরাঞ্চলে জন্মহার রাজ্যগুলির মধ্যে সবচেয়ে কম। সামগ্রিক ভাবে কম জন্মহারের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির তালিকায় এ রাজ্য মহারাষ্ট্রের সঙ্গে যুগ্ম ভাবে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।

Advertisement

প্রকাশিত রিপোর্ট জানাচ্ছে, বাংলার শহরাঞ্চলে জন্মহার ১১ (প্রতি হাজার জনসংখ্যার হিসেবে)। যা দেশের রাজ্যগুলির মধ্যে সর্বনিম্ন। অন্য দিকে, গ্রামবাংলায় জন্মহার ১৫। বড় রাজ্যগুলির মধ্যে পঞ্চম সর্বনিম্ন। পশ্চিমবঙ্গে প্রতি হাজারে মৃত্যুর হার ৫.৭। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে যা জাতীয় গড়ের (৬.৪) তুলনায় অনেকটাই কম। বড় রাজ্যগুলির মধ্যে জন্মহার সবচেয়ে বেশি প্রতিবেশী বিহারে— ২৫.৮। সবচেয়ে কম তামিলনাড়ুতে— ১২.৩। তবে কম জন্মহারের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আন্দামান ও নিকোবর। সেখানে জন্মহার মাত্র ১০.১।

জন্মহার বেশি এমন রাজ্যগুলির তালিকায় দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম স্থানে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ (২৩.৬), রাজস্থান (২২.৯), মধ্যপ্রদেশ (২২.৫) এবং ছত্তীসগঢ় (২২.৩)। ঘটনাচক্রে, সবগুলিই হিন্দিভাষী রাজ্য। অন্য দিনে, তামিলনাড়ুর পরে জন্মহার কম এমন রাজ্যগুলি হল কেরল (১২.৩), পঞ্জাব (১৩.৮) এবং মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গ (১৪)। বাংলার প্রতিবেশী অন্য রাজ্যগুলির মধ্যে ঝাড়খণ্ডের জন্মহার ২০.৬। অসমে ১৯.৮ এবং ওড়িশায় ১৬। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ রাজ্যে জন্মহার কমে যাওয়ার কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে একটি অবশ্যই যে, পশ্চিমবঙ্গে পরিবার পরিকল্পনায় ভাল কাজ হয়েছে সরকারি স্তরে। আর একটি কারণ নারী ক্ষমতায়ন। পারিবারিক সিদ্ধান্তগ্রহণে বিশেষত শহরাঞ্চলে বিবাহিত মহিলাদের ভূমিকা বৃদ্ধি পাওয়ায় কমছে জন্মহার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement