State News

আজ ডিএ মামলার রায়, হাইকোর্টে ধাক্কা খেতে পারে সরকার

কেন্দ্রীয় সরকার আরও এক দফা ডিএ ঘোষণা করেছে। ফলে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতনের ফারাক আরও বেড়ে গেল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৮ ১৮:৫৩
Share:

অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।

ঘোষিত হবে ডিএ (মহার্ঘ ভাতা) মামলার রায়। রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাধিক সংগঠনের দায়ের করা এই মামলার শুনানি আগেই শেষ হয়েছিল। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটির রায় দেবে। অধীর আগ্রহে রায়ের প্রতীক্ষায় পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীরা। তবে, তার মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার আরও এক দফা ডিএ ঘোষণা করেছে। ফলে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতনের ফারাক আরও বেড়ে গেল।

Advertisement

ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কর্মী সংগঠনগুলির টানাপড়েন অনেক দিন ধরেই চলছে। আইএনটিইউসি অনুমোদিত কর্মী সংগঠন কনফেডারেশনের তরফ থেকে প্রথমে রাজ্য প্রশাসনিক ট্রাইবুনালে মামলা করা হয়। তার পরে মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত এবং বিচারপতি ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। সিপিএম এবং বিজেপি-র কর্মী সংগঠনও শুনানিতে সামিল হয়। শুক্রবার হাইকোর্ট সেই মামলারই রায় ঘোষণা করতে চলেছে।

মামলার শুনানি চলাকালীন দুই বিচারপতি যে সব পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করেছিলেন, তাতে মামলাকারীরা রায় নিয়ে আশাবাদী। ডিএ কখনওই কর্মীদের অধিকার নয়— রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এমনই সওয়াল করা হয়েছিল হাইকোর্টে। কনফেডারেশনের তরফ থেকে আমজাদ আলি এবং কো-অর্ডিনেশন কমিটির তরফ থেকে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বিরোধিতা করেন সরকারের সেই বক্তব্যের।

Advertisement

আরও পড়ুন: বস্তা খুলতেই হাত-পা-মাথা কাটা টুকরো দেহ, ডোমজুড়ে ব্যাঙ্ককর্মী খুনে

আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, প্রতিবাদে নামছে কলকাতাও

এই মামলার শুনানি চলাকালীনই রাজ্য সরকার নতুন হারে ডিএ ঘোষণা করে। তবে জানিয়ে দেয়, ২০১৯-এর জানুয়ারি থেকে নতুন হারে ডিএ পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। রাজ্য সরকারের তরফে সে কথাও এর পরে আদালতে তুলে ধরা হয়। ডিএ বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ফলে কেন্দ্রের এবং রাজ্যের কর্মীদের মধ্যে ডিএ-র হারে আর কোনও ফারাক নেই বলে জানানো হয়। তবে আদালত সে যুক্তি মানেনি। বাজারমূল্য বৃদ্ধির কারণে যদি এখনই ধরে নেওয়া হয় যে, কর্মীদের বেতনে ক্ষয় হয়েছে, তা হলে ২০১৯ সালে গিয়ে ডিএ দেওয়ার অর্থ কী? আদালত সেই প্রশ্ন তোলে।

ডিভিশন বেঞ্চের এই সব প্রশ্ন এবং নানা পর্যবেক্ষণ সরকারের পক্ষে অস্বস্তিকর ছিল। সেই কারণেই মামলাকারীরা মনে করছেন যে, রায় সরকারের বিরুদ্ধে যেতে পারে। গোটা রাজ্যের সরকারি কর্মীরাই তাই এ দিন তাকিয়ে থাকবেন কলকাতা হাইকোর্টের দিকে। দুপুর ১টায় রায় ঘোষণার কথা রয়েছে।

মূল মামলাকারী সংগঠন কনফেডারেশনের তরফে সুবীর সাহা বললেন, ‘‘আমরা আশা করছি, রায় কর্মীদের পক্ষেই যাবে। যে ভাবে দিনের পর দিন কর্মীদেরকে ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করছে সরকার, তার বিরুদ্ধেই রায় হবে বলে আমাদের আশা।’’

কেন্দ্রীয় সরকার আবার এর মধ্যেই আরও ২ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছে। সুবীর সাহা সে প্রসঙ্গে বললেন, ‘‘কেন্দ্র নিয়ম মেনেই ডিএ বাড়াচ্ছে। আর আমাদের রাজ্যের সরকার কিছুতেই সে পথে হাঁটছে না। ফলে কেন্দ্রের কর্মীদের সঙ্গে রাজ্যের কর্মীদের বেতন বৈষম্য ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে।’’ কেন্দ্রের এই নতুন ডিএ ঘোষণার পরে রাজ্য সরকারি কর্মীদের সঙ্গে কেন্দ্রের কর্মীদের ডিএ-র ফারাক প্রায় ৪৭ শতাংশে পৌঁছে গেল বলে তিনি দাবি করেছেন।

(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া - পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবর আমাদের রাজ্য বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন