TMC

মোদীর সভায় বিশৃঙ্খলা পুলিশ-প্রশাসনের গাফিলতিতেই, রাজনাথকে অভিযোগ বিজেপির

রাজ্য বিজেপির অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী কোথাও সভা করলে, তার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের। পুলিশ-প্রশাসনের অত্যন্ত গাফিলতি না থাকলে মঞ্চের এত কাছে এইভাবে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারত না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২২:৩৯
Share:

ঠাকুরনগরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় বিশৃঙ্খলা।—ছবি পিটিআই।

ঠাকুরনগরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় বিশৃঙ্খলার জন্য উত্তর ২৪ পরগণার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলল রাজ্য বিজেপি। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে তারা।

Advertisement

রাজ্য বিজেপির অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী কোথাও সভা করলে, তার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের। পুলিশ-প্রশাসনের অত্যন্ত গাফিলতি না থাকলে মঞ্চের এত কাছে এইভাবে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারত না।

শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে যে মাঠে মোদীর সভার আয়োজন করেছিল অখিল ভারতীয় মতুয়া মহাসঙ্ঘ, তা একেবারে কানায় কানায় ভরে উঠেছিল। কার্যত তিলধারণের জায়গা ছিল না। মোদী ভাষণ শুরু করার পরেও মাঠে লোক ঢোকার চেষ্টা হতে থাকে। ফলে,বাড়তেই থাকে চাপ। একটা সময় দেখা যায়,ভিড়ের চাপে মাঠের ভিতরে চোঙা লাগানো শালবল্লার খুঁটি উপড়ে হেলে পড়েছে জনতার গায়ে। চূড়ান্ত ধাক্কাধাক্কি ও হুড়োহুড়ি শুরু হয়। ভিড়টা ক্রমশ মঞ্চের দিকে এগিয়ে আসে। কেউ কেউ চেয়ার ছুড়তেও শুরু করে দেন। মঞ্চ থেকে ভিড়ের এমন বেসামাল অবস্থা দেখে উদ্বীগ্ন হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রীও। পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে যাচ্ছে বুঝে খুব কম সময়ে ভাষণ থামিয়ে দেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: সিবিআই প্রশ্নে মমতাকে তীব্র কটাক্ষ করে মোদী বললেন, তৃণমূলের বিদায় নিশ্চিত

রাজ্য বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে থাকা অবস্থায় যে ভাবে তুমুল বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে, তা কখনই নিছক দুর্ঘটনা হতে পারে না। তাঁদের অভিযোগ, বহিরাগতদের নিয়ে ওই সভা ভণ্ডুল করার ষড়যন্ত্র ছিল এটা। তাঁদের আরও অভিযোগ, জেলা পুলিশ-প্রশাসন তৎপর থাকলে কোনও ভাবেই এরকম ঘটনা ঘটতে পারত না। কারণ যে ভাবে গোলমাল শুরু হয়েছিল, তাতে বড়সড় দুর্ঘটনাও ঘটে যেতে পারত।

আরও পড়ুন: ‘অর্ধ-শিক্ষিত, গর্ধ-শিক্ষিত, দানব’, মোদীকে তীব্র আক্রমণ মমতার

রাজ্য বিজেপি নেতাদের কাছ থেকে বিষয়টা জানার পরই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে ফোন করে ঘটনার বিশদ রিপোর্ট চেয়েছেন বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। বিজেপির তরফ থেকে মুকুল রায় এই রিপোর্টটা তৈরি করে অমিত শাহের কাছে পাঠাচ্ছেন। পাশাপাশি সমস্ত অভিযোগ জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপি নেতারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন