—ফাইল চিত্র।
অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের এ বছর ধান কেনার কাজে অস্থায়ী ভাবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য দফতর। প্রশাসন সূত্রের খবর, ধান কেনার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন প্রায় এক হাজার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীকে নিয়োগ করা হবে। প্রতি জেলায় জেলাশাসকে মাথায় রেখে একটি করে কর্মী বাছাই কমিটি গঠন করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য খুব শীঘ্রই অর্থ দফতরের কাছে পাঠানো হচ্ছে।
খাদ্য দফতর সূত্রের খবর, এমনিতেই কাজের তুলনায় কর্মী সংখ্যা দফতরে অনেকটাই কম। তার উপরে ধান কিনতে দফতরের কর্মীরা যদি জেলায় চলে যান, তা হলে অফিস চালানো দায় হয়ে উঠবে। এই কারণেই এ বছর অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ‘প্যাডি পার্চেস অফিসার’ হিসেবে তাঁরা কাজ করবেন। ‘চাষি-শিবির-খাদ্য দফতর’— এই তিনটি ক্ষেত্রে যোগাযোগ রেখে কাজ করতে হবে। তাঁদের উপযুক্ত ভাতাও দেওয়া হবে বলে এক কর্তা জানিয়েছেন।
এ বছর চাষিদের কাছ থেকে ১৭৫০ টাকা প্রতি কুইন্টাল ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান কিনবে রাজ্য সরকার। যা খোলা বাজারের থেকে অনেকটাই বেশি। ১ নভেম্বর থেকেই চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু হবে। ফলে এখন থেকেই চাষিদের মধ্যে সরকারের ঘরে ধান বিক্রি করার আগ্রহ তুঙ্গে উঠেছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে খাদ্য দফতর গত বছরের তুলনায় বেশি সংখ্যক শিবির খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খাদ্য দফতরের এক কর্তা জানান, এ বছর প্রায় সাতশোটি অতিরিক্ত শিবির খোলার কথা ভাবা হচ্ছে।