(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
১০০ দিনের কাজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় পক্ষে যেতেই এ বার বকেয়া টাকার দাবিতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য। বকেয়া মজুরি-সহ ১০০ দিনের কাজ নিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলা এখনও উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। মঙ্গলবার এই মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি চেয়ে হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র বেঞ্চে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে রাজ্য। আগামী ৭ নভেম্বর এই মামলাগুলির শুনানি হওয়ার কথা।
সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের রায় বহাল রেখে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজ শুরু করতে হবে কেন্দ্রকে। এই প্রকল্পের জন্য টাকাও মঞ্জুর করতে হবে তাদের। গত ১ অগস্ট থেকে রাজ্যে ১০০ দিনের কাজ শুরু করতে বলেছিল হাই কোর্ট। উচ্চ আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতে গিয়েছিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সোমবার বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ কেন্দ্রের আর্জি খারিজ করে দিয়ে হাই কোর্টের রায় বহাল থাকার কথা জানায়।
রাজ্যে গত তিন বছর ধরে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে, যা নিয়ে বার বার সরব হয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। কিন্তু এই প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রয়োজনীয় টাকা কেন্দ্রীয় সরকার আটকে দিয়েছিল। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ১০০ দিনের কাজে মজুরি মিলছে না, এমনটা জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ খেতমজুর সমিতি। মামলাকারীরা আদালতে বকেয়া মজুরি মিটিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি এত দিন টাকা বন্ধ করে রাখার জন্য ০.০৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়ার আর্জি জানান। ওই মামলাও বিচারাধীন রয়েছে হাই কোর্টে।
মঙ্গলবার একটি সাংবাদিক সম্মলনে ১০০ দিনের কাজ নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি জানান, বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে ১০০ দিনের কাজে কত পরিমাণ টাকা নয়ছয় হয়েছে। এই সূত্রেই সেই রাজ্যগুলিতে কতগুলি কেন্দ্রীয় দল গিয়েছে, সেই প্রশ্ন তোলেন প্রদীপ। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করতেই ১০০ দিনের কাজে বরাদ্দ আটকে রেখেছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।