Durgapur Rape Case

দুর্গাপুরের ঘটনা বিশদে জানিয়ে রাষ্ট্রপতি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে রিপোর্ট দিলেন বাংলার রাজ্যপাল বোস

রাজ্যপাল দুর্গাপুর গিয়ে তরুণীর সঙ্গে দেখা করেন। কথা বলেন তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গেও। পরে জানান, তরুণীকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তাঁর বাবা-মা যা ভেবেছেন, তাকে সম্মান করা উচিত।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৫ ২২:২৯
Share:

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। —ফাইল চিত্র।

দুর্গাপুরে ডাক্তারি ছাত্রীর ‘গণধর্ষণে’র ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে জমা দিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রিপোর্টটি তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকেও পাঠিয়েছেন। এই ক’দিনে দুর্গাপুরের ঘটনা সম্পর্কে তিনি যা যা জানতে পেরেছেন, তা রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছেন। ‘নির্যাতিতা’র বাবা-মায়ের সঙ্গে তাঁর কী কথা হয়েছে, তা-ও উল্লেখ করেছেন রিপোর্টে। রাজভবন সূত্র উল্লেখ করে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।

Advertisement

দুর্গাপুরের অভিযোগকারিণী ওড়িশার বাসিন্দা। সেখান থেকে এ রাজ্যে ডাক্তারি পড়তে এসেছিলেন। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছিলেন। ঘটনার পরে তাঁকে ওড়িশায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তরুণীর বাবা। রাজ্যপাল দুর্গাপুর গিয়ে তরুণীর সঙ্গে দেখা করেন। কথা বলেন তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গেও। পরে জানান, তরুণীকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তাঁর বাবা-মা যা ভেবেছেন, তাকে সম্মান করা উচিত। তাঁদের অনুভূতি বোঝা দরকার এবং তাঁদের সাহায্য করার জন্য যা যা পদক্ষেপ প্রয়োজন, করা দরকার। ঘটনাচক্রে দেশের রাষ্ট্রপতি মুর্মুও ওড়িশার কন্যা।

এর আগে ওড়িশার বিজেপি সাংসদ প্রতাপচন্দ্র সারেঙ্গি রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এ ছাড়া, জাতীয় মহিলা কমিশনও দুর্গাপুরের ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালকে একটি রিপোর্ট জমা দেয়। দুর্গাপুর ঘুরে এসে সংবাদমাধ্যমে সারেঙ্গি রাজ্য পুলিশের তদন্ত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। জানান, যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা আদৌ আসল অপরাধী কি না, তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

Advertisement

গত ১০ অক্টোবর রাতে সহপাঠীর সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে খাবার কিনতে বেরিয়েছিলেন দুর্গাপুরের অভিযোগকারী তরুণী। তখনই তিনি নির্যাতনের শিকার হন বলে অভিযোগ। গণধর্ষণের মামলা প্রাথমিক ভাবে রুজু করা হয়েছিল। তবে দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার মঙ্গলবার জানান, প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করা হচ্ছে, ‘ধর্ষক’ এক জনই। যদিও সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম অনুযায়ী, শুধু ধর্ষণ করলে নয়, তাতে সহায়তা করলেও গণধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়। এ ক্ষেত্রে ও তা-ই হয়েছে। তরুণীর সহপাঠীকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আপাতত তাঁকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement