100 days' work

গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী ‘সন্তুষ্ট’, ১০০ দিনের কাজে বকেয়া অর্থ পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী রাজ্য

রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী জানান, যে যে বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশ্ন বা ধন্দ ছিল, সেগুলোর সব ক’টিরই নিরসন করা হয়েছে। রাজ্যের নথি দেখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২২ ১৮:২৬
Share:

১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে কি জট কাটতে চলেছে? ফাইল চিত্র।

একশো দিনের কাজে বকেয়া অর্থ নিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে সোমবারের বৈঠক ‘ফলপ্রসূ’ হয়েছে বলে জানালেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অভিযোগ ছিল, গত বছর ডিসেম্বর মাস থেকে একশো দিনের কাজে রাজ্যের পাওনা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। ১০ মাসে প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা পাওনা বকেয়া রয়েছে রাজ্যের। বকেয়া অর্থ মেটানোর ব্যাপারে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী।

Advertisement

রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছিল, পঞ্চায়েত স্তরে টাকা খরচের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয়ে ‘অস্পষ্টতা’ আছে বলে জানায় কেন্দ্রীয় সরকার। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের তরফে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের কাছে বেশ কিছু নথি চেয়ে পাঠানো হয়। রাজ্য প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, সে সমস্ত নথি কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঠানো হয়েছে। সোমবার রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী জানান, যে যে বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশ্ন বা ধন্দ ছিল, সেগুলোর সব ক’টিরই নিরসন করা হয়েছে। রাজ্যের তরফে পাঠানো নথি দেখে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী পুরো বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। এই সূত্রেই তিনি রাজ্যের বকেয়া অর্থ নিয়ে বলেন, “আশা করি, খুব দ্রুত সব কিছু মিটে যাবে।” অবশ্য এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

এ দিকে একশো দিনের কাজ নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য বৈঠকের দিনই রাজ্যে পঞ্চায়েত স্তরে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে জনগণের মন জয় করতে ভুয়ো কর্মসংস্থান তৈরি করছে রাজ্য। নিজের অভিযোগের সপক্ষে রাজ্যের দু’টি ব্লকের উদাহরণ দিয়ে তিনি দেখান যে, ওই ব্লকগুলিতে মোট পরিবার সংখ্যার তুলনায় জবকার্ড গ্রাহকের সংখ্যা বেশি। রাজ্যের শাসক দলের এই দুর্নীতি রোধ করতে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন