বিজেপির চার সদস্যের প্রতিনিধিদল আসানসোলে গেল রবিবার। যাওয়ার পথে দু’জায়গায় রাজ্য প্রশাসন তাদের ১৪৪ ধারার কথা স্মরণ করিয়ে দিলেও শেষ পর্যন্ত আটকায়নি। যদিও পরে আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা বলেছেন, ‘‘যাঁরা ১৪৪ ধারা ভাঙলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ ওমপ্রকাশ মাথুর, সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এবং বি ডি রাম, দলের আর এক নেতা শাহনওয়াজ হুসেন এ দিন আসানসোল ঘুরে অভিযোগ করেছেন, কয়লা এবং ড্রাগ মাফিয়ারা নিজেদের অসাধু ব্যবসার স্বার্থে সম্প্রীতি নষ্ট করার চক্রান্ত করেছে। আর প্রশাসন নির্বিকার থেকেছে। পরিস্থিতি শান্ত করার বদলে নিজের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে দিল্লি গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিরোধী কংগ্রেস এবং বাম অবশ্য প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য সরকারের পক্ষপাতিত্ব নিয়ে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এবং সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে শনিবার আসানসোলের পথে আটকেছিল রাজ্য প্রশাসন। এই প্রেক্ষিতেই অধীরবাবু বলেন, ‘‘কংগ্রেস আসানসোলে ঢুকতে গেলে প্রশাসন বাধা দিচ্ছে। কিন্তু আজ বিজেপি নেতাদের বিনা বাধায় যেতে দেওয়া হল। তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যে কানামাছি খেলা চলছে!’’ আর সুজনবাবুর বক্তব্য, ‘‘আমরা যখন সম্প্রীতির জন্য রানিগঞ্জ-আসানসোলে যেতে চাইলাম, আমাদের আটকানো হল। আর যাঁরা বিভাজনের রাজনীতি করার জন্যই গিয়েছেন, তাদের যেতে দেওয়া হল। তৃণমূল-বিজেপি-র গড়াপেটা আবার স্পষ্ট হল!’’
আরও পড়ুন: আগে বাঁচলে দলের নাম, সূত্র বিরোধীদের
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য কংগ্রেস-বামের অভিযোগের জবাবে বলেন, ‘‘বিরোধীরা আগে নিজেদের দল সামলাক। পরে ওদের জবাব দেব।’’ আর বিজেপি-র অভিযোগ উড়িয়ে পার্থবাবুর বক্তব্য, ‘‘যারা গুজরাত এবং বাবরি-কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের থেকে পরামর্শ চাই না!’’