মেরে ফেলা কত সহজ

ধোঁয়া দিয়েছেন কেন,  মুর্শিদাবাদে থেঁতলে হত্যা বৃদ্ধকে

নিহতের বড় ছেলে মনোজবাবুর অভিযোগ, ‘‘থানা থেকে পুলিশই আসেনি। অভিযুক্তেরা বুক ফুলিয়ে গ্রামেই ঘুরে বেড়াচ্ছে।’’ সুতি থানার ওসি বিশ্ববন্ধু চট্টরাজ অবশ্য বলছেন, ‘‘পুলিশ গেছিল, তিন জনেই পালিয়েছে তো খোঁজ চলেছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সুতি শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৮ ০৪:৩৩
Share:

বাড়িতে পুজো হচ্ছে, জানলা গলে তাই ধোঁয়ার কুণ্ডলী ছড়িয়ে ছিল রাস্তায়।

Advertisement

ভরা বিকেলে, এলাকার তিন উঠতি ‘দাদা’ টলমল পায়ে সে পথেই হাঁটছিল। ধোঁয়া দেখে থমকে গিয়ে তারা শুরু করে অশ্রাব্য গালমন্দ।

‘‘কেন ভাই গালমন্দ করছেন’’, বলে নেমে এসেছিলেন বাড়ির মালিক। প্রতিবাদ? খোলা রাস্তার উপরেই বছর ষাটেকের বৃদ্ধকে পিটিয়ে মারল তিন মদ্যপ। সোমবার বিকেলে, মুর্শিদাবাদের উমরাপুর গ্রামে প্রকাশ্যে রাজেন্দ্র মণ্ডল (৬০) নামে ওই বৃদ্ধকে পেটাচ্ছে দেখেও এগিয়ে আসেননি কেউ? গ্রামবাসীদের অনেকেই জানিয়েছেন, ‘‘ওই তিন জনই শাসক দলের পরিচিত গুন্ডা, কার এত সাহস আছে!’’ এ দিন রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতারও করতে পারেনি পুলিশ।

Advertisement

নিহতের বড় ছেলে মনোজবাবুর অভিযোগ, ‘‘থানা থেকে পুলিশই আসেনি। অভিযুক্তেরা বুক ফুলিয়ে গ্রামেই ঘুরে বেড়াচ্ছে।’’ সুতি থানার ওসি বিশ্ববন্ধু চট্টরাজ অবশ্য বলছেন, ‘‘পুলিশ গেছিল, তিন জনেই পালিয়েছে তো খোঁজ চলেছে।’’

রাজেন্দ্রবাবুর পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মনোজের স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। সুস্থ সন্তান কামনায় বাড়িতে পুজো হচ্ছিল। তারই সামান্য ধোঁযা ছড়িয়েছিল রাস্তা। তিন মদ্যপের আপত্তি ছিল সেখানেই।

মনোজ বলেন, ‘‘ঠিক তখনই তিন প্রতিবেশি যুবক, কার্তিক মণ্ডল, নির্মল মন্ডল আর লাল্টু মণ্ডল মদ খেয়ে আমাদের বাড়ির সামনে এসে অহেতুক গালিগালাজ করতে থাকে। বাবা তারই প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলেন।’’ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাজেন্দ্রবাবুর সঙ্গে কথা কাটাকাটির সময়ে রাস্তা থেকে থান ইট তুলে তাঁর মাথায় মারা হয়। রাস্তার উপরে পড়ে যান বৃদ্ধ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন