মার্চে জিএসটি উদ্বৃত্ত এ রাজ্যে

গত বছর জুলাইয়ে গোটা দেশে জিএসটি চালু হয়। গত অগস্টে এই খাতে রাজ্যের রাজস্ব ঘাটতি ছিল ৩৩.৪ শতাংশ। যা সেই সময় জাতীয় গড় (২৮.৩ শতাংশ)-এর থেকে বেশি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৮ ০২:৫২
Share:

পণ্য পরিষেবা করে (জিএসটি) উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেল রাজ্য সরকার। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অর্থসচিব হাসমুখ আঢিয়া মুখ্যসচিব মলয় দে-কে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, একমাত্র এ রাজ্যেই জিএসটিতে রাজস্ব ঘাটতি নেই।

Advertisement

গত বছর জুলাইয়ে গোটা দেশে জিএসটি চালু হয়। গত অগস্টে এই খাতে রাজ্যের রাজস্ব ঘাটতি ছিল ৩৩.৪ শতাংশ। যা সেই সময় জাতীয় গড় (২৮.৩ শতাংশ)-এর থেকে বেশি। কিন্তু এ বছর মার্চে ঘাটতি মিটে গিয়ে রাজ্যে রাজস্ব উদ্বৃত্ত হয়েছে তিন শতাংশ। যেখানে গোটা দেশে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৭.৯ শতাংশ।

রাজ্য অর্থ দফতরের ব্যাখ্যা, প্রধানত তিনটি কারণে এই সাফল্য এসেছে। প্রথমত, এ রাজ্যের উৎপাদন ক্ষেত্রের তুলনায় পরিষেবা ক্ষেত্রের পরিধি অনেকটা বেশি। দ্বিতীয়ত, আর্থিক বছরের শেষে উল্লেখযোগ্য হারে কর আদায় হয়েছে। এবং তৃতীয়ত, গত জানুয়ারি মাস থেকে রাজ্য সরকার কর ফাঁকি আটকাতে সক্ষম হয়েছে।

Advertisement

জিএসটি আদায়ে ঘাটতি থাকলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে তা পুষিয়ে দেওয়ার কথা কেন্দ্রের। মার্চ মাসের জন্য এ রাজ্যের ক্ষতিপূরণ করতে হবে না কেন্দ্রকে। আগামী দিনেও পশ্চিমবঙ্গে জিএসটি আদায়ের এই প্রবণতা বজায় থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিব।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement