মিশ্র পাঠে নম্বর তোলার সুলুকসন্ধান

সিবিসিএসের ২৫ পাতার নিয়মাবলি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে পেশ করা হবে বৃহস্পতিবার। তিন বছরের অনার্সে মোট নম্বর বেড়ে হচ্ছে ২৬০০। জেনারেলে ২২০০। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের জন্য প্রতি সেমেস্টারে প্রতি পত্রে থাকছে ১০% নম্বর।

Advertisement

মধুমিতা দত্ত ও সুপ্রিয় তরফদার

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৮ ০৫:৫৪
Share:

‘চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম’ (সিবিসিএস) বা পছন্দসই মিশ্র পাঠ শুরু করতে চলেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বাণিজ্য বিভাগে চালু হয়েছে আগেই। ২০১৮-’১৯ শিক্ষাবর্ষে সব শাখাতেই ‘চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম’ (সিবিসিএস) বা পছন্দসই মিশ্র পাঠ শুরু করতে চলেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই পদ্ধতিতে নম্বর তোলা তুলনামূলক অনেক সহজ হবে বলে শিক্ষা শিবিরের অভিমত।

Advertisement

সিবিসিএসের ২৫ পাতার নিয়মাবলি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে পেশ করা হবে বৃহস্পতিবার। তিন বছরের অনার্সে মোট নম্বর বেড়ে হচ্ছে ২৬০০। জেনারেলে ২২০০। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের জন্য প্রতি সেমেস্টারে প্রতি পত্রে থাকছে ১০% নম্বর। হাজিরাতেও বরাদ্দ ১০% নম্বর। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা জানান, প্রতি সেমেস্টারের এই ২০% নম্বর পাওয়া প্রায় নিশ্চিত। কারণ পুরোটাই কলেজের হাতে।

প্রতিটি বিষয়ে ৩০% নম্বর পেলেই পাশ। অনার্স বা জেনারেলের স্নাতক পাঠ্যক্রম শেষ করার জন্য সর্বাধিক সময় পাঁচ বছর। কোনও সেমেস্টারে অনার্স পত্রে ৩০% নম্বর না-পেলে পরের সেমেস্টারে বসা যাবে। শেষে মোট ৪০% নম্বর না-হলে ফের দেওয়া যাবে পঞ্চম ও ষষ্ঠ সেমেস্টার।

Advertisement

গ্রামীণ কলেজের জন্য বিকল্প কিছু বিষয় রাখার কথা ভাবা হচ্ছে। এখন পড়ুয়াদের পড়তে হবে কোর পেপার বা মূল পত্র। সঙ্গে নিতে হবে ‘স্কিল এনহান্সমেন্ট’ বা দক্ষতা বৃদ্ধির পাঠ। ভাষা ও পরিবেশবিদ্যা বাধ্যতামূলক। কলা বিভাগের পড়ুয়াদের পড়তে হবে একটি ‘জেনেরিক ইলেক্টিভ’ বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা জানান, এই পদ্ধতি পুরোদমে চালু হয়ে গেলে কলেজে বছরে মোট ছ’টি বড় পরীক্ষা হবে। শিক্ষক-ঘাটতির মধ্যে সীমিত সময়ে লক্ষাধিক পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র যাচাই করাটাই সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন অধ্যক্ষেরা।

এই পদ্ধতিকে স্বাগত জানিয়েও ওয়েবকুপা নেতা সুজয় ঘোষ বলেন, ‘‘এটা কতটা ফলপ্রসূ হবে, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।’’ সমস্যা যে আছেই, বড়িশার বিবেকানন্দ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষা সোমা ভট্টাচার্যের বক্তব্যে তা স্পষ্ট। ‘‘কলেজে প্রচুর বিষয় দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ বিচিত্র বিষয় চালু করতে অতিরিক্ত শিক্ষক দরকার। লাগবে অতিরিক্ত জায়গা। এটা এক দিনে সম্ভব নয়,’’ বলছেন সোমাদেবী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন