বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকোত্তর পঠনপাঠন চালাচ্ছে আবার তাদের অধীন কোনও কোনও কলেজেও চলছে ওই স্তরের পাঠ। দু’ধরনের পড়ুয়াকেই ডিগ্রি দিচ্ছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু তাতে মান-বৈষম্য থেকে যাচ্ছে। তাই ওই সব কলেজে নিজেদের মতো করে স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম করানোর উপরে এ বার নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে চাইছেন বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা বৃহস্পতিবার জানান, এত দিন ওই সব কলেজ নিজেদের মতো করে স্নাতকোত্তরের পাঠ্যক্রম তৈরি থেকে শুরু করে প্রশ্নপত্র তৈরি ও পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করত। এমনকি উত্তরপত্রও যাচাই করত নিজেরাই। নম্বর দিতেন সংশ্লিষ্ট কলেজেরই শিক্ষকেরা। অথচ শংসাপত্র দিত বিশ্ববিদ্যালয়। এ বার পুরো পদ্ধতিটাই বদলাতে চায় বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার সিন্ডিকেটে এই বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানান ওই কর্তা। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, পাঠ্যক্রম তৈরি, প্রশ্নপত্র ঠিক করা, পরীক্ষার দিন নির্ধারণের পাশাপাশি কোন কলেজের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র কোন কলেজ দেখবে, সেটাও ঠিক করবে বিশ্ববিদ্যালয়। একমাত্র তা হলেই কলেজের পরীক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর শংসাপত্র দেওয়া হবে। নইলে আর কোনও কলেজেরই পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শংসাপত্র পাবেন না। মূলত মানের বৈষম্য মেটাতেই এই উদ্যোগ বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তারা। দেখা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমের সঙ্গে বিভিন্ন কলেজের পাঠ্যক্রম ও পরীক্ষা পদ্ধতির কোনও মিল থাকছে না। তা সত্ত্বেও দু’ধরনের ছাত্রছাত্রীরাই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই শংসাপত্র পাচ্ছেন। এ বার এই বৈষম্য ঘোচাতে চাইছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রশ্ন উঠছে, মানে ফারাক থাকছে জেনেও এত দিন বিভিন্ন কলেজকে তাদের মতো করে স্নাতকোত্তর পঠনপাঠন চালাতে দেওয়া হচ্ছিল কী ভাবে? সদুত্তর মিলছে না।