ডাক্তার-সঙ্কট মেটাতে বার্তা হোয়াটস অ্যাপে

জেলার ব্লক ও গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসকের সঙ্কট মেটাতে এ বার ভিন্‌ রাজ্যেও বার্তা পাঠাচ্ছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। হাতিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ। শূন্যপদ পূরণের আবেদনে যাতে অন্য রাজ্যের চিকিৎসকরাও সাড়া দিতে পারেন, সে কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৩৫
Share:

জেলার ব্লক ও গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসকের সঙ্কট মেটাতে এ বার ভিন্‌ রাজ্যেও বার্তা পাঠাচ্ছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। হাতিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ। শূন্যপদ পূরণের আবেদনে যাতে অন্য রাজ্যের চিকিৎসকরাও সাড়া দিতে পারেন, সে কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ।

Advertisement

১১ ডিসেম্বর চিকিৎসক নিয়োগের ইন্টারভিউ। জলপাইগুড়ির সিএমওএইচ জগন্নাথ সরকার বলেন, “যে কোনও জায়গা থেকে চিকিৎসক এলেই আমাদের জেলার স্বাস্থ্য পরিষেবা ভাল হবে৷ সে জন্য অসম, গুজরাত থেকে শুরু করে যেখানে যেখানে আমার পরিচিতরা আছেন, তাঁদের হোয়াটস অ্যাপ করে চিকিৎসক নিয়োগের বিষয়টি জানাচ্ছি৷”

বহু দিন থেকেই জলপাইগুড়ি জেলায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে শুরু করে ব্লক ও গ্রামীণ হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসকের সঙ্কট। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চালু হওয়ায় সঙ্কট আরও বেড়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ওই হাসপাতালে এখন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের বেশির ভাগ পদই শূন্য৷ জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরাই সেখানকার রোগীদের সামলাচ্ছেন৷ কোনওমতে তা চললেও স্বাস্থ্য কর্তাদের চিন্তা বাড়াচ্ছে ব্লক ও গ্রামীণ হাসপাতালগুলির পরিস্থিতি।

Advertisement

জলপাইগুড়িতে একটি ব্লক ও ছ’টি গ্রামীণ হাসপাতালে এই মূহূর্তে জেনারেল ডিউটি মেডিক্যাল অফিসারের ৩৮ টি পদ শূন্য। ক’মাস আগে এই সংখ্যাটা ছিল ৪০। তখন ন্যাশনাল রুরাল হেল্থ মিশনের অধীনে চুক্তির ভিত্তিতে দশ জন চিকিৎসক নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা৷ কিন্তু মিলেছিল মাত্র দু’জন চিকিৎসক৷

চিকিৎসকের অভাব দূর করতে ন্যাশনাল রুরাল হেল্থ মিশনের অধীনে চুক্তির ভিত্তিতে দশ চিকিৎসক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর৷ এ জন্য বৃহস্পতিবার সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন, ১১ ডিসেম্বর চিকিৎসক নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। তবে অতীতের কথা মাথায় রেখে শুধু বিজ্ঞাপন দিয়ে থেমে থাকলেন না স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা৷ এই ইন্টারভিউতে চিকিৎসকদের পাঠাতে দেশের নানা প্রান্তে হোয়াটস অ্যাপে পরিচিতদের বার্তা পাঠাচ্ছেন তাঁরা। সিএমওএইচ-এর কথায়, “গত বার দু’জন চিকিৎসক পেয়েছিলাম৷ এ বার দেখি ক’জনকে পাওয়া যায়৷”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement