কেন্দ্রের স্বীকৃতি পেল বাংলার ‘যাত্রী সাথী’। —ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ‘যাত্রী সাথী’ প্রকল্পকে পুরস্কৃত করল কেন্দ্রীয় সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতাই তা এক্স হ্যান্ডলের পোস্টে জানিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক ‘যাত্রী সাথী’ প্রকল্পকে ‘সেরা নগর পরিবহণ প্রকল্প’-এর স্বীকৃতি দিয়েছে। এ-ও জানিয়েছেন, এই অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত চালকের সংখ্যা বর্তমানে ১.৩ লাখ এবং এই অ্যাপ ব্যবহার করেন ৪৫ লাখ যাত্রী।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি অ্যাপ-ক্যাবে যাত্রী ভাড়ার উপরে চড়া হারে কমিশনের দাপট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অসন্তোষ বাড়ছিল চালক সংগঠনগুলির মধ্যে। ওই সমস্যা নিরসনে হলুদ ট্যাক্সির চালকদের নিয়ে পাইলট প্রকল্প হিসেবে ২০২৩ সালের জুলাই মাস নাগাদ কাজ শুরু করে যাত্রী সাথী অ্যাপ। শুরুতে নানা সমস্যা থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ওই অ্যাপে একাধিক পরিষেবা যুক্ত হয়েছে। কলকাতা ছাড়াও আসানসোল, শিলিগুড়ি এবং দুর্গাপুর শহরে ওই অ্যাপের আওতায় পরিষেবা চালু রয়েছে।
এই অ্যাপের মাধ্যমে ক্যাব বুক করলে বার বার মোবাইলের পর্দায় চোখ রেখে চালকের আসার অপেক্ষায় তাকিয়ে থাকতে হয় না। চালক নির্দিষ্ট ‘পিক আপ লোকেশনে’ পৌঁছোলে যাত্রীর মোবাইলে হর্নের ধাঁচে অ্যালার্ট বাজতে থাকে। কমিশন বা ‘সার্জ প্রাইসিং’ না থাকায় ওই অ্যাপে ভাড়ার হার তুলনামূলক বিচারে কিছুটা কম বলে জানিয়েছেন ব্যবহারকারীরা।
মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তা বাড়াতে রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে ওই অ্যাপে একাধিক বৈশিষ্ট্য যোগ করা হয়েছে। মহিলা যাত্রীরা অ্যাপের মাধ্যমে সর্বাধিক দু’জন ব্যক্তির নম্বর যুক্ত করে রাখতে পারেন। সফরের সময়ে পথের হদিস ওই নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে সরাসরি পৌঁছে যাবে। পাশাপাশি, চালক ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুল পথে গেলে অথবা রাস্তায় অকারণে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখলে অ্যাপের হেল্পলাইন থেকে সরাসরি চালকের কাছে ফোন যাওয়ার সুবিধা রয়েছে ওই অ্যাপে। সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে সরাসরি অ্যাপের হেল্পলাইনে ফোন করে সাহায্য চাওয়ার সুযোগও রয়েছে। সফরের সময়ে যাত্রীরা ক্যাবে প্রয়োজনীয় জিনিস ভুল করে ফেলে এলে খোলা রয়েছে তা নিয়ে অভিযোগ জানানোর পথও।