সহায় হ্যাম রেডিয়ো, বাড়ি ফিরলেন যুবক

শেষ পর্যন্ত হ্যাম রেডিয়ো ক্লাবের সৌজন্যে খোঁজ মিলল তাঁর বাড়ির। হাসপাতাল সূত্রের খবর, বিহারের বৈশালী জেলার জাফরাবাদের বাসিন্দা অরুণকুমার রাম নামের ওই যুবক। ভাইয়ের খোঁজ পেয়ে তাঁকে বাড়ি নিয়ে যেতে মঙ্গলবার কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন দীনেশ রাম। আজ, বুধবার অরুণকে তাঁর নিয়ে যাওয়ার কথা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৮ ০১:৫৮
Share:

তৎপর: হ্যাম রেডিয়ো ক্লাব। —নিজস্ব চিত্র।

সূত্র বলতে ছিল শুধু ‘বৈশালী’ নামটি। কিন্তু শুধু ওই সূত্র থেকে বাড়ির ঠিকানা খুঁজে পাননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে সুস্থ হওয়ার পরেও চার মাস এম আর বাঙুর হাসপাতালে রয়েছেন বছর তেইশের স্মৃতিভ্রষ্ট এক যুবক।
শেষ পর্যন্ত হ্যাম রেডিয়ো ক্লাবের সৌজন্যে খোঁজ মিলল তাঁর বাড়ির। হাসপাতাল সূত্রের খবর, বিহারের বৈশালী জেলার জাফরাবাদের বাসিন্দা অরুণকুমার রাম নামের ওই যুবক। ভাইয়ের খোঁজ পেয়ে তাঁকে বাড়ি নিয়ে যেতে মঙ্গলবার কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন দীনেশ রাম। আজ, বুধবার অরুণকে তাঁর নিয়ে যাওয়ার কথা।
হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার রীতেশ মল্লিক জানান, ১৭ অগস্ট এক ব্যক্তি অরুণকে হাসপাতালে ভর্তি করে চলে যান। সে সময়ে তিনি অচৈতন্য ছিলেন। মাথায় এবং বাঁ পায়ে গভীর চোট ছিল। তাঁকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলা হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয়েছিল। হাসপাতাল সূত্রের খবর, বর্তমানে সুস্থ অরুণ, কিন্তু তাঁর স্মৃতিশক্তি ফেরেনি। তাই ঠিকানাও বলতে পারেননি। পুলিশের সাহায্য নিয়‌েও বাড়ির খোঁজ পাননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সোমবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওয়েস্ট বেঙ্গল, হ্যাম রেডিয়ো ক্লাবের সম্পাদক অম্বরীশ নাগবিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অম্বরীশবাবু বিহারের বৈশালীর হ্যাম রেডিয়ো অপারেটর সুমন সোহরাবকে বিষয়টি জানান।
সুমন জানান, বৈশালী থানা থেকে জানা যায়, মাস ছয়েক আগে অরুণ নামে এক যুবকের নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছিল। সেখান থেকেই মেলে বাড়ির ঠিকানা। ছবি দেখে অরুণকে চিনতে পারেন পরিজনেরা। দীনেশ জানান, অরুণ জাতীয় তাপবিদ্যুৎ নিগম লিমিটেড (এনটিপিসি)-এর অস্থায়ী কর্মী। মে মাসে তিনি একটি কাজে কলকাতায় আসেন। তার পর থেকে তাঁর খোঁজ মেলেনি। আমতলা হাসপাতাল সূত্রের খবর, কোনও গাড়ির ধাক্কায় গত অগস্টে জখম হন তিনি। তার আগের তিন মাস তিনি কোথায় ছিলেন, সে উত্তর মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন