বেআইনি ভাবে কয়লা-সহ নানান খনিজ দ্রব্য উত্তোলন নিয়ে একটি মামলায় আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠেছে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে ব্যক্তিগত ভাবে হাজিরা দিতে হল পুলিশ-প্রশাসনের চার কর্তাকে। তাঁরা হলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল এবং আইজি (পশ্চিমাঞ্চল)।
দুর্গাপুর, আসানসোল ও রানিগঞ্জ এলাকার খনি থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা এবং অন্যান্য খনিজ দ্রব্য তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে ২০১৩ সালে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থের মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ওই বছরের ২৭ জুন হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন নির্দেশ দেয়, ওই কাজ বন্ধ করার জন্য দক্ষ অফিসারদের নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিশেষ একটি ‘সেল’ খুলতে হবে।
রাজ্য সরকার সেই সেল এখনও খুলে উঠতে পারেনি। এতে আদালত অবমাননা হয়েছে বলে ফের মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলায় হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, স্বরাষ্ট্রসচিব-সহ রাজ্যের চার অফিসারকে ব্যক্তিগত ভাবে হাজিরা দিয়ে জানাতে হবে, কী কী কারণে ওই সেল খোলা হয়নি।
এ দিন বিচারপতি তপন দত্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশনে আদালত অবমাননার মামলাটি ওঠে। এজলাসে ব্যক্তিগত হাজিরা দেন স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নীরজনয়ন পাণ্ডে, ডিজি জিএমপি রেড্ডি এবং আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) কুলদীপ সিংহ। রাজ্যের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল লক্ষ্মী গুপ্ত আদালতে জানান, সেল খোলার ব্যাপারে রাজ্য সরকার কী কী করেছে, সেই ব্যাপারে এ দিনই পৃথক ভাবে চারটি হলফনামা দাখিল করা হয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, রাজ্যের ওই চার অফিসারকে আর আদালতে ব্যক্তিগত হাজিরা দিতে হবে না।
ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, মামলাকারীর আইনজীবীকে পাল্টা হলফনামা দাখিল করতে হবে। পরবর্তী শুনানি হবে চার সপ্তাহ পরে।