ফাঁসে মৃত্যু সারদার আমানতকারীর

সারদা-সহ তিনটি বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থায় মেয়ের বিয়ের জন্য টাকা রেখেছিলেন ক্যানিংয়ের পরানিখেকো গ্রামের সুশান্ত সর্দার (৪২)। সেই টাকা যে ফেরত পাবেন না, তা প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার ইস্তক মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। শারীরিক অসুস্থতাও ছিল। শুক্রবার সকালে বাড়ির কাছেই একটি গাছ থেকে তাঁর মৃতদেহ ঝুলতে দেখেন গ্রামবাসী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:১১
Share:

সারদা-সহ তিনটি বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থায় মেয়ের বিয়ের জন্য টাকা রেখেছিলেন ক্যানিংয়ের পরানিখেকো গ্রামের সুশান্ত সর্দার (৪২)। সেই টাকা যে ফেরত পাবেন না, তা প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার ইস্তক মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। শারীরিক অসুস্থতাও ছিল। শুক্রবার সকালে বাড়ির কাছেই একটি গাছ থেকে তাঁর মৃতদেহ ঝুলতে দেখেন গ্রামবাসী। দুপুরে সুশান্তবাবুর স্ত্রী ছায়া সর্দার ক্যানিং থানায় অভিযোগ করেন, সারদা-সহ কিছু অর্থলগ্নি সংস্থায় টাকা রেখে প্রতারিত হওয়াতেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজমিস্ত্রির কাজ করে টাকা জমিয়েছিলেন সুশান্তবাবু। প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ছিল সারদায়। গত বছরের শেষ দিকে তা ফেরত পাওয়ার কথা ছিল। পরিবারের দাবি, টাকা মেলার আশা প্রায় নেই বুঝে সুশান্তবাবু মাস ছয়েক ধরে অবসাদে ভুগছিলেন। ছায়াদেবী বলেন, “সারদা, সহারা ও অ্যালকেমিস্টে উনি প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা জমা রেখেছিলেন। মেয়াদ শেষে পাওয়া টাকায় মেয়ের বিয়ে দেবেন বলে ঠিক করেছিলেন। কিন্তু তার আগেই সারদা উঠে যাওয়ায় উনি ভেঙে পড়েন।” পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক ভাবেও অসুস্থ ছিলেন সুশান্তবাবু। চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। এ দিন সকালে সাংসারিক বিষয় নিয়ে স্ত্রী ও মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তাঁর। তার পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। সকাল ১০টা নাগাদ কাছেই একটি গাছে তাঁর দেহ ঝুলতে দেখা যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন