বনবাংলোয় ঘর বুকিং হবে পর্যটন দফতরেও

বিভিন্ন বনবাংলোয় বুকিংয়ের জন্য এত দিন কালঘাম ছুটে যেত পর্যটকদের। আর ছুটবে না। কোনও ক্রমে বুকিং যদি বা মেলে, অনেক ক্ষেত্রে শেষ মুহূর্তে তা বাতিল হয়ে যেত। এ বার সেই ঝুঁকিও থাকবে না। এটা সম্ভব হচ্ছে রাজ্যের পর্যটন দফতরের সৌজন্যে। এ বার তাদের মাধ্যমে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ২২টি বনবাংলোর বুকিং হবে। পর্যটনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু শুক্রবার বলেন, “খুব শীঘ্রই এই ব্যবস্থা চালু হবে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৪ ০৩:৩৮
Share:

পর্যটন দফতরের লজের অনলাইন বুকিং ব্যবস্থার উদ্বোধন করছেন পর্যটনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু।—নিজস্ব চিত্র।

বিভিন্ন বনবাংলোয় বুকিংয়ের জন্য এত দিন কালঘাম ছুটে যেত পর্যটকদের। আর ছুটবে না। কোনও ক্রমে বুকিং যদি বা মেলে, অনেক ক্ষেত্রে শেষ মুহূর্তে তা বাতিল হয়ে যেত। এ বার সেই ঝুঁকিও থাকবে না। এটা সম্ভব হচ্ছে রাজ্যের পর্যটন দফতরের সৌজন্যে। এ বার তাদের মাধ্যমে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ২২টি বনবাংলোর বুকিং হবে। পর্যটনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু শুক্রবার বলেন, “খুব শীঘ্রই এই ব্যবস্থা চালু হবে।”

Advertisement

মন্ত্রী এ দিন পর্যটন দফতরের ২৭টি লজের অনলাইন বুকিং ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন। যে-কোনও পর্যটক অনলাইনে এই ব্যবস্থার সুযোগ নিতে পারবেন। কিছু দিনের মধ্যে পর্যটকেরা এসএমএস করেও লজগুলি ‘বুক’ করতে পারবেন বলে জানান মন্ত্রী।

বন দফতরের খবর, বনবাংলো বুকিং নিয়ে পর্যটন দফতরের সঙ্গে তাদের চূড়ান্ত কথা হয়ে গিয়েছে। কোন কোন বনবাংলোয় পর্যটন দফতরের মাধ্যমে বুকিংয়ের সুযোগ পাওয়া যাবে, তার তালিকাও করা হয়েছে। তাতে উত্তরবঙ্গের মৌচুকি, মেন্দাবাড়ি, কুঞ্জনগর, বিছা বাংলো, দক্ষিণ খয়েরবাড়ির রিসর্ট, নেওড়া ক্যাম্প, মূর্তির টেন্ট এবং দক্ষিণবঙ্গের শুশুনিয়া, বিহারীনাথ, গোপগড়-সহ বিভিন্ন থাকার জায়গা রয়েছে।

Advertisement

তবে প্রকৃত অর্থে বনবাংলো বলতে পর্যটকেরা যেগুলি চেনেন, সেই গরুমারা, চাপড়ামারি, খুট্টিমারি, চিলাপাতা, বান্দাপানি এই তালিকায় নেই বলে বন দফতর সূত্রের খবর। ওই দফতরের কর্তা ও তাঁদের পরিবার এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক ও ভিআইপি বা মন্ত্রীদের কাছে যে-সব বাংলোর চাহিদা বেশি, সেগুলি পর্যটকদের কাছে অধরাই থেকে যাচ্ছে। বস্তুত, সরকারি কর্তা, মন্ত্রী ও ভিআইপি-দের কাছে যে-সব বনবাংলোর কদর কম আবার সাধারণ পর্যটকেরা যে-সব বনবাংলোর খবর তেমন জানেন না, সেগুলিরই বুকিং দেওয়া হবে পর্যটন দফতরের মাধ্যমে। পর্যটকদের পরিষেবা দেওয়ার দায়িত্ব অবশ্য বন দফতরের হাতেই থাকবে।

রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল নবীনচাঁদ বহুগুণা বলেন, “পর্যটন দফতরের মাধ্যমে কয়েকটি বনবাংলো বুকিং হলে বেশি সংখ্যায় পর্যটক যাবেন। আমাদের লাভ হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement