মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কমিশনে বামেরা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙেছেন বলে ফের নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করল বামফ্রন্ট। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সুনীল গুপ্তের সঙ্গে দেখা করে সিপিএমের রবীন দেব, ফরওয়ার্ড ব্লকের দেবব্রত রায়-সহ বাম নেতারা বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেছেন, প্রথমে দিল্লির রামলীলা ময়দানে ও পরে পৈলানে তাঁর ভাষণে আচরণবিধি ভেঙেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৪ ০৩:৫৬
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙেছেন বলে ফের নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করল বামফ্রন্ট। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সুনীল গুপ্তের সঙ্গে দেখা করে সিপিএমের রবীন দেব, ফরওয়ার্ড ব্লকের দেবব্রত রায়-সহ বাম নেতারা বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেছেন, প্রথমে দিল্লির রামলীলা ময়দানে ও পরে পৈলানে তাঁর ভাষণে আচরণবিধি ভেঙেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

অভিযোগ করা হয়েছে পুলিশ-কর্তাদের বিরুদ্ধেও। মালদহের পুলিশ-প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাশাপাশিই মেদিনীপুরের ঘটনা নিয়েও অভিযোগ জানিয়েছেন রবীনবাবুরা। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ

মুকুল রায়ের সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের সার্কিট হাউসে গত ১৮ মার্চ বৈঠক করে বাঁকুড়া ও মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙেছেন।

Advertisement

মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সুনীলবাবু জানিয়েছেন, সব অভিযোগই খতিয়ে দেখা হবে। রবীনবাবুও জানান, এর আগে বামফ্রন্ট যে সব অভিযোগ করেছে, তার কিছু ক্ষেত্রে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্যে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া না-হলে বিষয়টি দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে জানানো হবে।

বামফ্রন্টের তরফে এ দিন মোট ১৬টি ক্ষেত্রে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ, পুলিশি অত্যাচার, প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগের তালিকা দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও কৃষি প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না, তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ আনা হয়েছে। সুনীলবাবুর কাছে অভিযোগ জানানোর পরে রবীনবাবু বলেন, “পৈলানে নির্বাচনী প্রচারসভায় মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনকে দোষারোপ করে বলেছেন যে, কমিশনের কাজে রাজ্যের উন্নয়ন থমকে যাচ্ছে। এটা আচরণবিধির পরিপন্থী।” দিল্লির রামলীলা ময়দানের বক্তৃতাতেও মুখ্যমন্ত্রী সিপিএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আচরণভিধি ভেঙেছেন বলে বামেদের অভিযোগ। এ ছাড়াও তাদের আরও অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসন শাসক পক্ষের সভা-বৈঠক করার অনুমতি দিলেও বিরোধীদের অনুমোদন আটকে দিচ্ছে নানা অজুহাতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন