শীতের শহরে, মায়ের কোলে। ছবি: রণজিৎ নন্দী।
সকালেই কনকনে ঠান্ডা বাতাস কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিরশিরানি বেড়ে গেল। বাড়ল উত্তুরে হাওয়ার প্রকোপও। শুক্রবারই মরসুমে প্রথম কলকাতার তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে। হাওয়া অফিস বলছে, উত্তর ভারত থেকে নেমে আসা হিমশীতল বাতাসের তীব্রতা আর কিছুটা বাড়লেই কলকাতায় শুরু হবে শৈত্যপ্রবাহ।
এ দিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই সময়ের স্বাভাবিক সর্বনিম্ন তাপমাত্রার থেকে ৩ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি নামলে সেই অবস্থাকে শৈত্যপ্রবাহ বলে।
কলকাতা যখন শৈত্যপ্রবাহ থেকে কিছুটা দূরে, তখন বীরভূম আর বর্ধমানের শিল্পাঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সাড়ে সাত ডিগ্রিতে নেমে গিয়েছে। সেখানে শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাপমাত্রা আর দশমিক কয়েক ডিগ্রি কমলেই সেখানে সরকারি ভাবে শৈত্যপ্রবাহ ঘোষণা করবে আবহাওয়া অফিস।
উত্তুরে হাওয়ার তীব্রতা এতটাই যে সমুদ্র উপকূলের দীঘাতেও তাপমাত্রা নেমে দাঁড়িয়েছে ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সমুদ্র থেকে আসা জলীয় বাষ্পবাহী অপেক্ষাকৃত গরম বাতাস হার মেনেছে উত্তুরে হাওয়ার কাছে। দক্ষিণের ডায়মন্ড হারবারেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
কিন্তু এমন শীত ক’টা দিন?
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আগামী দিন তিনেক কড়া শীত থাকলেও বর্ষশেষে তার দাপট কমে যাবে। বছর শেষে জাঁকিয়ে ঠান্ডার মধ্যে হুল্লোড় করার পরিকল্পনা থাকলে তাতে জল ঢালার জন্য তৈরি বঙ্গোপসাগরের একটি নিম্নচাপ। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, রবিবার পর্যন্ত কড়া শীত থাকলেও সোমবার থেকে আকাশ মেঘলা হবে, হাল্কা বৃষ্টিরও সম্ভাবনা আছে। বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ ক্রমশ সরে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশার দিকে আসতে পারে বলে জানাচ্ছেন আবহবিদেরা। সে ক্ষেত্রে আকাশে মেঘ জমবে, শীত কমবে। তাই রবিবারের পরে শীতের ভাগ্য নির্ভর করবে ওই নিম্নচাপের উপরেই।