পাকিস্তানের নেটপ্রভাবী সানা ইউসুফ। ছবি: পিটিআই।
বয়স তার ১৮ পেরোয়নি। তার আগেই সমাজমাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল সে। পাকিস্তানের এমনই এক নেটপ্রভাবীকে ইসলামাবাদে নিজের বাড়িতেই গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, আততায়ী ওই নেটপ্রভাবীর পরিচিত ছিলেন। প্রথমে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি বাড়ির বাইরে নেটপ্রভাবী সানা ইউসুফের সঙ্গে কথা বলেন। তার পরে বাড়িতে ঢুকে তাকে লক্ষ্য করে পর পর গুলি চালিয়ে পালিয়ে যান। পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। সোমবার সুম্বল থানায় এফআইআর দায়ের হয়। অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সংবাদমাধ্যম ‘ডন’-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সানার মা ফারজ়ানা ইউসুফ অভিযোগ দায়ের করেছেন। সানা টিকটক এবং ইনস্টাগ্রামে যথেষ্ট জনপ্রিয়। সমাজমাধ্যমে তাঁর ভক্তের সংখ্যাও কম নয়। ১৭ বছর বয়সি সানার হত্যার প্রতিবাদে সোচ্চার পাকিস্তানিদের একাংশ।
‘ডন’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে পুলিশের এফআইআর কপি তুলে ধরা হয়েছে। সেই কপি অনুযায়ী, সানার মা দাবি করেছেন, রবিবার বিকেলে একটি লোক পিস্তল হাতে তাঁদের বাড়িতে প্রবেশ করেন। ফারজ়ানার কথায়, ‘‘আমার মেয়েকে খুন করার উদ্দেশ্যেই বাড়িতে ঢোকেন ওই ব্যক্তি। এবং সরাসরি গুলি চালান।’’ সানার বুকে গুলি লাগে। তৎক্ষণাৎ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। আততায়ীর বর্ণনা দিতে গিয়ে সানার মা জানান, ওই ব্যক্তির পরনে ছিল কালো জামা এবং প্যান্ট। তাঁকে যদি আবার দেখতে পান তবে চিনতে পারবেন বলেই পুলিশকে জানিয়েছেন ফারজ়ান।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক পাকিস্তানি কিশোরীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল। বার বার টিকটক ভিডিয়ো পোস্ট করার ‘অপরাধে’ কিশোরীকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। মৃতা থাকত আমেরিকায়। তাকে সেখান থেকে পাকিস্তানে ডেকে এনে তার বাবা খুন করেন। কিশোরীর বাবা পুলিশি জেরার মুখে জানান, টিকটকে বার বার ভিডিয়ো পোস্ট করত কন্যা। একাধিক বার এ নিয়ে কিশোরীকে সতর্ক করেও লাভ হয়নি। পাকিস্তানে ফেরার পরেও সে একই কাজ করায় মেয়েকে গুলি করেছেন বলে জানান অভিযুক্ত।