landslide

Rohingya: বানে, ধসে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা-সহ মৃত ২০

বন্যায় ভেসে গিয়েছে অন্তত ৭০টি গ্রাম। ধস নেমে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক এলাকা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ঢাকা শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২১ ০৫:১৪
Share:

বানভাসি বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির। নিজস্ব চিত্র

গত তিন দিনের প্রবল বৃষ্টি ও তার ফলে ধস ও বন্যায় বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে কমপক্ষে ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এদের মধ্যে ৬ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী। প্রায় ৩ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে প্রশাসন। পাহাড়ের গায়ে ধস নেমে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। করোনার বাড়বাড়ন্তের কারণে দেশ জুড়ে ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করেছে শেখ হাসিনা প্রশাসন। তার মধ্যে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথাব্যথা হয়ে উঠেছে প্রশাসনের কাছে।

Advertisement

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, অতিবৃষ্টির ফলে বহু নদীর জল কূল ছাপিয়ে গ্রাম ভাসিয়েছে। তিন লক্ষ ছ’হাজার মানুষকে তার আগে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বন্যায় ভেসে গিয়েছে অন্তত ৭০টি গ্রাম। ধস নেমে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক এলাকা। প্রশাসন এখন সেই সব জায়গায় ত্রাণ পৌঁছে দিতে চেষ্টা করছে। ধসের কবলে পড়ে ও নানা দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা।

কক্সবাজারের উখিয়া এলাকায় অস্থায়ী শিবির গড়ে মায়ানমার থেকে আসা প্রায় সাত লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে রেখেছে বাংলাদেশ সরকার। জঙ্গল সন্নিহিত সেই এলাকার অনেকটা বানে ভেসেছে। প্রায় দশ হাজার রোহিঙ্গাকে সরাতে হয়েছে নিরাপদ স্থানে। ইউএসএড সংস্থা এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী বিষয়ক শাখা তাদের জন্য বিশেষ ত্রাণ সামগ্রী বিলি করেছে। কিন্তু তার আগেই ধস ও হড়পা বানে ভেসে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৬ শরণার্থী। এর মধ্যে একটি শিশু রয়েছে। ধসের নীচে চাপা পড়ে গিয়েছিল শরণার্থীদের কয়েকটি কাঁচা ঘর। পাথর ও মাটি সরিয়ে ৫ জনের দেহ মেলে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ৮ জন। এ ছাড়া টেকনাফে পাহাড়ের ধসের নীচে একটি কাঁচা ঘর চাপা পড়ায় প্রাণ হারিয়েছে একই পরিবারের পাঁচটি শিশু। মহেশখালিতে ধসে মারা গিয়েছেন এক প্রৌঢ়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন