International

আমেরিকা থেকে বিতাড়িত হতে পারেন ৩ লক্ষ ভারতীয়

‘ভারত-বন্ধু’ই বিপদে ফেলে দিয়েছেন ভারতীয়দের! ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে গিয়েছে মার্কিন মুলুকে ‘অবৈধ বসবাসকারী’ প্রায় তিন লক্ষ ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর। তাঁদের রুটি-রুজি বন্ধ হয়ে যাওয়ার জোগাড় হয়েছে। গতকালই ‘এইচ-ওয়ান-বি’ ভিসার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিওরিটি দফতরের বিজ্ঞপ্তি জানিয়ে দিল, আমেরিকায় ‘অবৈধ বসবাসকারী’দের জন্যই একটি আইন আসছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৬:৪৭
Share:

‘ভারত-বন্ধু’ই বিপদে ফেলে দিয়েছেন ভারতীয়দের!

Advertisement

ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে গিয়েছে মার্কিন মুলুকে ‘অবৈধ বসবাসকারী’ প্রায় তিন লক্ষ ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর। তাঁদের রুটি-রুজি বন্ধ হয়ে যাওয়ার জোগাড় হয়েছে। তাঁদের বিতাড়িত হওয়ার আশঙ্কা দেখা গিয়েছে। গতকালই ‘এইচ-ওয়ান-বি’ ভিসার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।মঙ্গলবার মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিওরিটি দফতরের বিজ্ঞপ্তি জানিয়ে দিল, আমেরিকায় ‘অবৈধ বসবাসকারী’দের জন্যই একটি আইন আসছে।

নির্বাচনী প্রচারে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বার বার অঙ্গীকার করেছিলেন, ক্ষমতায় এলে তিনি ‘ভারত-বন্ধু’ হবেন। আর ক্ষমতাসীন হয়েই তিনি সিদ্ধান্ত নেন, ‘এইচ-ওয়ান-বি’ ভিসা আইনে বড়সড় রদবদল ঘটানোর। ওই ‘এইচ-ওয়ান-বি’ ভিসার ভরসাতেই এত দিন মার্কিন মুলুকে টিসিএস, উইপ্রো, ইনফোসিসের মতো ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পসংস্থাগুলিতে কাজ করতেন ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা। ওই ভিসার সুযোগ নিয়ে তাঁদের সংস্থা চালানোর জন্য দক্ষ অথচ সুলভ ভারতীয় কর্মীদের আমেরিকায় নিয়ে যেতেন ভারতের সামনের সারির তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পক্ষেত্রের কর্ণধাররা। মার্কিন মুলুকে একই পথে হাঁটত অন্য দেশগুলির তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পসংস্থাগুলিও। টিসিএস, উইপ্রো, ইনফোসিসের মতো ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পসংস্থাগুলির কর্ণধাররা ট্রাম্প-জমানার এই পদক্ষেপে রীতিমতো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তাঁরা ইতিমধ্যেই তাঁদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। তাঁরা আমেরিকায় গিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন ও কংগ্রেস সদস্যদের কাছে তাঁদের অসুবিধার কথা জানাবেন বলেও স্থির করেছেন ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পসংস্থাগুলির কর্ণধাররা। গতকাল ভারত সফরে আসা মার্কিন কংগ্রেসের দু’টি প্রতিনিধিদলের সদস্যদের কাছেও প্রধানমন্ত্রী মোদী গোটা বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানান।

Advertisement

মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিওরিটি দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে কিন্তু এ দিন একটি বারের জন্যও ‘এইচ-ওয়ান-বি’ ভিসার উল্লেখ করা হয়নি। বরং বলা হয়েছে, পর্যাপ্ত নথিপত্র নেই, এমন ‘অবৈধ বসবাসকারী’দের কথা। জানানো হয়েছে, আমেরিকায় এই মুহূর্তে ‘অবৈধ বসবাসকারী’ বিদেশির সংখ্যা এক কোটি দশ লক্ষ। তার মধ্যে ভারতীয়ের সংখ্যা তিন লক্ষ। প্রৈসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাবিত নতুন ভিসা আইনের ফলে, মার্কিন মুলুকে কর্মরত সব বিদেশি কর্মীরই ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে গিয়েছে। নতুন আইন লাগু হলেই তাঁদের আমেরিকা ছেড়ে দেশে ফিরে যেতে হবে, চাকরি খুইয়ে। দক্ষ ও সুলভ কর্মীর অভাবে ১৫ হাজার কোটি টাকার ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পেরও সাড়ে সর্বনাশ হয়ে যাবে। আর ‘অবৈধ বসবাসকারী’ সংক্রান্ত আইন লাগু হলে তাঁদের সবাইকেই বিতাড়িত হতে হবে, অবিলম্বে।

আরও পড়ুন- শিরশ্ছেদের আগে এ ভাবেই বুক চিতিয়ে ছিলেন এই ইরাকি অফিসার

ট্রাম্প প্রশাসনের হোমল্যান্ড সিকিওরিটি দফতরের মঙ্গলবারের একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘‘নতুন আইনের ফলে যে বিদেশি নাগরিকদের মার্কিন মুলুক থেকে বিতাড়িত হয়ে তাঁদের নিজের নিজের দেশে ফিরে যেতে হবে, তাঁদের কারও ক্ষেত্রেই নিয়মের কোনও ব্যতিক্রম ঘটবে না। কোনও বিশেষ শ্রেণি বা কোনও বিশেষ মাপকাঠিই ওই আইনের এক্তিয়ারের বাইরে থাকবে না। নতুন আইন লাগু হওয়ার পর ওই আইন ভাঙলে, তা তিনি যে ব্যক্তিই হোন, তাঁকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হবে। শুধু অনাথ শিশুদের বিষয়টি অন্য ভাবে বিবেচনা করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন