International News

মা ঘুমিয়ে, ওয়াশিং মেশিনে ঢুকে মৃত্যু তিন বছরের মেয়ের

রবিবারের সেই দুপুরটা বোধহয় কোনও দিন ভুলতে পারবেন না ব্রুক হ্যানি। বছর পঁচিশের তিন সন্তানের মা ব্রুকের কাছে দিনটা আর পাঁচটা দিনের মতোই ছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৬ ১৬:৩৪
Share:

অ্যালেক্সিসের সঙ্গে ব্রুক হ্যানি। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।

রবিবারের সেই দুপুরটা বোধহয় কোনও দিন ভুলতে পারবেন না ব্রুক হ্যানি। বছর পঁচিশের তিন সন্তানের মা ব্রুকের কাছে দিনটা আর পাঁচটা দিনের মতোই ছিল।

Advertisement

দক্ষিণ আরকানসাসের ছোট্ট শহর হ্যাম্পটনের বাড়িতে তিন বাচ্চা নিয়ে থাকেন ব্রুক। অক্টোবরের দুপুরে লাঞ্চের পর ঘুমের ওষুধ খেয়ে জুড়ে এসেছিল তাঁর চোখ। বিছানায় শরীরটা এলিয়ে দিয়েছিলেন। কাজেই জানতে পারেননি কখন তাঁর তিন বছরের মেয়ে ওয়াশিং মেশিনের ভিতরে ঢুকে পড়েছে। শুধু তাই নয়, ভেতরে ঢুকে তার ঢাকনাও বন্ধ করে দিয়েছিল একরত্তি অ্যালেক্সিস। ঢাকনা বন্ধ করতেই স্বয়ংক্রিয় ওয়াশিং মেশিন চালু হয়ে যায়। গরম জল ঢুকতে শুরু করে। ভেতরে আটকে পড়া অ্যালেক্সিস গরম জল আর ঘুরন্ত ওয়াশিং হুইলের কবলে পড়ে চিত্কার করতে থাকে। কিন্তু, সে আওয়াজ বাইরে আসেনি। মারাত্মক ভাবে জখম হয় সে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকেরা জানিয়ে দেন, মারা গিয়েছে একরত্তি মেয়েটি।

পুলিশের কাছে ব্রুকের সাত বছরের মেয়ে জানিয়েছে, ওয়াশিং মেশিনের ব্যবহার জানে তারা। কারণ এ কাজে প্রায়শই মাকে সাহায্য করে তারা। কী ভাবে তা-ও জানিয়েছে পুলিশকে। জামাকাপড় পরিষ্কার হয়ে গেলে প্রথমে এক বোন খোলা ওয়াশিং মেশিনের উপরে চড়ে বসে। এর পর ধোওয়া জামাকাপড়গুলো আর এক বোনকে ছুড়ে দেয়। সে তখন তা শুকোনোর জন্য ড্রায়ারে ঢুকিয়ে দেয়। এ প্রায় তাদের রোজকার রুটিন। তবে সে দিন জামাকাপড় নয়, নিজেই ওয়াশিং মেশিনে চড়ে বসেছিল অ্যালেক্সিস। আর সঙ্গে সঙ্গে তার দরজা বন্ধ হয়ে যায়। দরজা বন্ধ হয়ে গেলেই ওই স্বয়ংক্রিয় ওয়াশিং মেশিন চালু হয়ে যায়।

Advertisement

ঘুম ভেঙে উঠে তন্নতন্ন করে ঘরবাড়ি খুঁজেও অ্যালেক্সিসকে দেখতে পাননি ব্রুক। খোঁজ চলে পড়শিদের ফ্ল্যাটেও। এর পর ফের একপ্রস্থ বাড়িতে খোঁজার পর অ্যালেক্সিসকে ওয়াশিং মেশিনের ভেতরে দেখতে পায় ব্রুক। ঘটনার পর ব্রুককে গ্রেফতার করেছে আরকানসাস পুলিশ। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, এর আগেও চরম গাফিলতি পরিচয় দিয়েছেন ব্রুক। গত বছরেই মাদকাসক্ত হয়ে সাত মাসের শিশুসন্তানকে গাড়িতে পিছনের সিটে বসিয়ে ড্রাইভিং করছিলেন তিনি। এর মাস দু’য়েক পরেই ঘটল অ্যালেক্সিসের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা। ব্রুকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। তদন্তে জানা গিয়েছে, যে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘটনার দিন ঘুমোচ্ছিলেন তার কোনও প্রেসক্রিপশন পাওয়া যায়নি ব্রুকের বাড়িতে।

এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে ছ’বছরের জেল হতে পারে সন্তানসম্ভবা ব্রুকের। মামলা চলাকালীন ব্রুকের দুই মেয়েকে রাখা হয়েছে আরকানসাস স্টেট ডিভিশন অব চিলড্রেন অ্যান্ড ফ্যামিলি সার্ভিসেস-এর হেফাজতে।

আরও পড়ুন

নিজের ভাই নয়, কান্দিল বালোচকে শ্বাসরোধ করে মেরেছিল তুতো ভাই

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন