Facebook

Facebook: বিভাজন করছে ফেসবুক, অভিযোগ

৩৭ বছর বয়সি ফ্রান্সেস হগেন ফেসবুকে প্রোডাক্ট ম্যানেজার পদে কাজ করতেন। সেনেট কমার্স সাবকমিটির শুনানিতে তিনি এই অভিযোগ তুলেছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২১ ০৬:১০
Share:

প্রতীকী ছবি।

ছোটদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে ফেসবুক। সমাজে বিভাজনও তৈরি করছে। মার্ক জ়াকারবার্গের সংস্থার বিরুদ্ধে এমনই একগুচ্ছ অভিযোগ তুললেন এক প্রাক্তন কর্মী। এ বিষয়ে একমত আমেরিকান সেনেটের রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট, দু’দলের সদস্যই। তাঁদেরও বক্তব্য, ফেসবুকের কাজকর্মে অবিলম্বে বদল প্রয়োজন।

Advertisement

৩৭ বছর বয়সি ফ্রান্সেস হগেন ফেসবুকে প্রোডাক্ট ম্যানেজার পদে কাজ করতেন। সেনেট কমার্স সাবকমিটির শুনানিতে তিনি এই অভিযোগ তুলেছেন। ফেসবুকের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন আমেরিকান আইনপ্রণেতাদের একাংশও। তাঁদের বক্তব্য, সংস্থার আর্থিক লাভ বাড়াতে কর্মীদের উপরে লাগাতার চাপ দেন জ়াকারবার্গ, কিন্তু ফেসবুক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি উদাসীন। ফেসবুকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তের দাবি জানিয়েছে সেনেট।

সেনেটে দাঁড়িয়ে হগেন বলেছেন, ‘‘সংস্থার নেতৃত্ব জানেন, কী ভাবে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামকে নিরাপদ করা যায়। কিন্তু ওঁরা করবেন না। কারণ ওঁদের কাছে মানুষের নিরাপত্তার থেকে সংস্থার লাভক্ষতি আগে।’’

Advertisement

পাল্টা জবাব দিয়েছেন জ়াকারবার্গ। কর্মীদের উদ্দেশে একটি খোলা চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘‘অযৌক্তিক দাবি। কোনও ফেসবুক পোস্ট যাতে ক্ষতিকর না হয়, তার জন্য নিয়মিত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সংস্থা। মানুষের নিরাপত্তা, তাঁদের ভাল থাকা, মানসিক স্বাস্থ্য— এই বিষয়গুলিকে আমরা ভীষণ ভাবে গুরুত্ব দিই।’’ তাঁর এই চিঠি ফেসবুকেও পোস্ট করেছেন জ়াকারবার্গ।

হগেন এ দিন বলেন, ‘‘সোমবার যে ফেসবুক হঠাৎ অকেজো হয়ে গিয়েছিল, এর কারণ আমার জানা নেই। কিন্তু এটুকু বলতে পারি, ওই পাঁচ ঘণ্টা ফেসবুক ব্যবহার করে সমাজে কোনও বিভাজন তৈরি করা হয়নি, কোনও গণতন্ত্রকে আঘাত করা হয়নি, কোনও বাচ্চা মেয়ে কিংবা মহিলাকে নিজের শরীর সম্পর্কে লজ্জা পেতে বাধ্য করা হয়নি।’’ জ়াকারবার্গের অবশ্য পাল্টা দাবি, ‘‘কত জন ফেসবুক ছেড়ে অন্য মাধ্যমে যোগ দিল, কিংবা কত আর্থিক ক্ষতি হল, তা নিয়ে আমরা বেশি চিন্তিত নই। বরং কত জন আমাদের পরিষেবা ব্যবহার করে প্রিয়জনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন, কত জন ব্যবসা চালাচ্ছেন, সমাজকে সাহায্য করছেন, সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন