প্রতীকী ছবি।
মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে। সেই জমাট বাঁধা রক্ত সরিয়ে না ফেললে সমূহ বিপদের আশঙ্কা। তাই তড়িঘড়ি করে ‘রোগী’কে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হল। সেখানে কেটে ফেলা হল তাঁর খুলিও। তার পর কোথাও জমাট বাঁধা রক্তের হদিশ পেলেন না ডাক্তাররা!
গেল কোথায় সেই জমাট বাঁধা রক্ত ‘রোগী’র মস্তিষ্কে? সত্যটা জানতে পেরে তো মাথায় হাত ডাক্তারদের! করেছেনটা কী তাঁরা?
তথ্য-তল্লাশের পর জানা যায়, মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে বলে যাঁর খুলি কেটে ফেলা হয়েছে, তিনি আসল রোগী নন! অন্য এক জনের খুলি কেটে ফেলা হয়েছে!
কোনও কল্পকাহিনী নয়। এই ঘটনা ঘটেছে গত মাসে কেনিয়ার নাইরোবিতে কেনিয়াট্টা ন্যাশনাল হসপিটালে।
এই ঘটনা ঘটল কী ভাবে?
দৈনিক ‘ডেলি নেশন’ জানিয়েছে, ‘নিউরো’ ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা দুই রোগীর পরিচয়পত্র (আইডেন্টিফিকেশন ট্যাগ)-ই এই বিপত্তির কারণ। এক রোগীর মস্তিষ্কের ভিতরে রক্ত জমাট বেঁধে ছিল। আর এক রোগীর মস্তিষ্কের কোষগুলির ভিতর ও দু’টি কোষের মধ্যবর্তী স্থানে বাড়তি রস জমে যাচ্ছিল (ডাক্তারি পরিভাষায় যাকে বলে- ‘সেরিব্রাল এডেমা’ বা ‘ব্রেন সোয়েলিং’)। দৈনিকটি এও জানিয়েছে, ভুলবশত যে রোগীর খুলি কেটে ফেলা হয়েছিল, তিনি আপাতত সুস্থ রয়েছেন।
আরও পড়ুন- প্রবল তুষারঝড়ে বিধ্বস্ত ইউরোপ, মৃত অন্তত ৫৫
আরও পড়ুন- এ বার দেশের সেনাবাহিনীতেও সৌদির মহিলারা
তবে ওই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে কেনিয়া সরকার। কেনিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ক্যাবিনেট সেক্রেটারি সিসিলি কারিউকি নাইরোবির ওই সরকারি হাসপাতালের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) লিলি কোরোস টারেকে অবিলম্বে ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শুক্রবার।
তার আগের দিন অবশ্য টারে এক বিবৃতিতে জানান, ‘ভুল রোগীকে অস্ত্রোপচারের জন্য’ নিউরোসার্জেন, ওয়ার্ড নার্স সহ ৪ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।