ছবি: রয়টার্স।
গত কাল হামলার স্মৃতি এখনও দগদগে। তার মধ্যেই মিশরের দিকে একটি ব্যস্ত সীমান্ত সোমবার বন্ধ করে দিয়েছে ইজরায়েল। ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ওই সীমান্ত। ইজরায়েলের দাবি, ফের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা রয়েছে মিশরে। তাই এই সিদ্ধান্ত।
জোড়া গির্জায় হামলায় ৪৫ জনের মৃত্যুর পর রাতারাতি মিশরে জরুরি অবস্থা জারি করলেন প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতেহ-আল সিসি। সরকার জানিয়েছে, এখন থেকে সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে পুলিশি পরোয়ানা ছাড়া গ্রেফতার করা যাবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালানো যাবে বিনা বাধায়। পরিস্থিতি বিচার করে প্রশাসনের সিদ্ধান্তে সায় দেয় মন্ত্রিসভা। আজ মন্ত্রিসভার তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, আগামী তিন মাস দেশে জরুরি অবস্থা জারি থাকবে। আজ থেকে শুরু। সন্ত্রাসবাদী ও তাদের মদতদাতাদের হুমকি রুখতে যা যা পদক্ষেপ করার প্রয়োজন, তা সবই করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশকে। সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি রক্ষা করতে দেশ জুড়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে কয়েক গুণ। গত কাল রাতেই জাতীয় প্রতিরক্ষা পরিষদের সঙ্গে বৈঠকের পর টেলিভিশনে জরুরি অবস্থা ঘোষণার কথা জানিয়েছিলেন সিসি। আজ সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেয় মন্ত্রিসভা।
পুলিশ জানিয়েছে, গত কাল ‘সানডে মাস’-এর ভিড়ে নীল বদ্বীপ অঞ্চলের টানটা শহরের মার গিরগিজ গির্জায় ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা। প্রথম বিস্ফোরণটি হয় সকাল ১০ টা নাগাদ। ঘণ্টাখানেকের মাথায় দ্বিতীয় বিস্ফোরণ। ঘটনাস্থল উপকূলবর্তী আলেকজান্দ্রিয়ার সেন্ট মার্কস গির্জা। জোড়া বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় অন্তত ৪৫ জনের। আহত শতাধিক। হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আইএস। দেশের সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, আরও হামলার আশঙ্কা করে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে নিরাপত্তাবাহিনীকে। ‘শান্তিকামী পুণ্যার্থীদের’ উপর এই হামলার কড়া সমালোচনা করেছে মিশরের মার্কিন দূতাবাস।