Alexander Lukashenko

যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনায় ইতি হতেই নতুন সক্রিয়তা রাশিয়ার, ইউক্রেন সীমান্তে বেলারুশের সঙ্গে মহড়া

রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মতোই বেলারুশও সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের আর এক দেশ। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজ়ান্ডার লুকাশেঙ্কোর পরিচিতি ‘পুতিন-ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২৫ ১৮:৩৯
Share:

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

তুরস্কের ইস্তানবুলে যুদ্ধবিরতি নিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন বৈঠকে ঐকমত্য হয়নি শুক্রবার। আর তার পরেই নতুন করে সক্রিয়তা শুরু করল ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী। এ বার ইউরোপে তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সহযোগী বেলারুশের সঙ্গে ইউক্রেন সীমান্তে যৌথ মহড়ায় নামতে চলেছে রুশ ফৌজ।

Advertisement

রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রে বেলোসভ শনিবার বেলারুশ সফরে গিয়ে সে দেশের প্রেসিডেন্ট আলেকজ়ান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে বৈঠক করেন। তার পরেই যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ সেনা মহড়ার কথা জানিয়ে লুকাশেঙ্কো শনিবার বলেছেন, ‘‘আমাদের কিছু লুকোনোরনেই। আমরা কোনও দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালাব না। কিন্তু আক্রান্ত হলে তার প্রতিরোধের লক্ষ্যেই এই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে।’’

রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মতোই বেলারুশও সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের আর এক দেশ। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজ়ান্ডার লুকাশেঙ্কোর পরিচিতি ‘পুতিন-ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই ২০২৩ সালে জুন মাসে রাশিয়া তাদের পরমাণু অস্ত্রসম্ভারের একাংশ বেলারুশে মজুত করেছিল। পুতিন নিজেই সে কথা ঘোষণা করেছিলেন। সামরিক জোট নেটোর অভিযোগ, সেখানে রীতিমতো রুশ পরমাণু অস্ত্র ঘাঁটি তৈরি করেছে মস্কো। গত মে মাসে রিয়াধে ওয়াশিংটন-মস্কো বৈঠকের পরে ট্রাম্পের পরামর্শে সাড়া দিয়ে পুতিন ‘সাময়িক যুদ্ধবিরতি’তে সম্মতি দেওয়ার পরে লুকাশেঙ্কো উপযাচক হয়ে তাঁর দেশে পরবর্তী বৈঠক আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে বেলারুশ-ইউক্রেন সীমান্তে রুশ ফৌজ মোতায়েনেরও অনুমোদন দিয়েছেন লুকাশেঙ্কো।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement