নিজের বাড়িতে ভিক্টোরিনা মোরালেস। ছবি নিউ ইয়র্ক টাইমসের সৌজন্যে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশকারীদের উপর তিনি শুরু থেকেই খড়্গহস্ত। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে নির্বাচনী প্রচারের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তৃতার একটি বড় অংশ থাকত অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়ন প্রসঙ্গে। কিন্তু তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে থেকেই তাঁর নিজের গল্ফ ক্লাবে হাউস কিপিংয়ের কাজ করেন এক অনুপ্রবেশকারী এক মহিলা। সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে উঠে এল এ রকমই তথ্য।
আমেরিকার নিউ জার্সির বেডমিনস্টারে রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের নিজস্ব মালিকানাধীন ‘ট্রাম্প ন্যাশনাল গল্ফ ক্লাব’। সেখানে ২০১৩ সাল থেকে হাউস কিপিংয়ের কাজ করছেন ভিক্টোরিনা মোরালেস। সেখানে তাঁর কাজ ট্রাম্পের বিছানা করে দেওয়া, বাথরুম পরিষ্কার রাখা, সংগৃহীত গল্ফ ট্রফিতে ধুলো পড়লে তা মুছে দেওয়া।
এই কাজ গত পাঁচ বছর ধরে নিখুঁতভাবে করে আসছেন তিনি। এ জন্য এ বছর জুলাই মাসে হোয়াইট হাউস কমিউনিকেশন এজেন্সির তরফে একটি শংসাপত্রও পেয়েছেন তিনি। সেখানে লেখা আছে তাঁর নামও। এমনকি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন এই গল্ফ ক্লাব পরিদর্শনে আসেন তখন সিক্রেট সার্ভিস লোগো দিয়ে সজ্জিত মার্কিন পতাকা সম্বলিত একটি ব্যাচও পড়তে হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন: বিমান ভেঙে মৃত মার্কিন সেনা, নিখোঁজ ৫ জন
কিন্তু তাঁর যাত্রাটা মোটেই এত মধুর ছিল না। গুয়াতেমালার অজ গ্রামের শস্য ক্ষেত থেকে গল্ফ ক্লাবের নরম বালিশে পৌঁছাতে তাঁকে অবৈধভাবে পেরোতে হয়েছিল দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত। ১৯৯৯ সালে এই সীমান্ত পেরিয়ে তিনি ঢুকে পড়েছিলেন নিউ জার্সিতে।
ভিক্টোরিনা নিজেই জানিয়েছেন, আমেরিকায় অনুপ্রবেশের সময় তাঁর কাছে যে সব নথি ছিল তা সবই নকল। তাঁর আরও দাবি, ট্রাম্পের এই গল্ফ ক্লাবে অনুপ্রবেশকারী কর্মী তিনি একা নন।
আরও পড়ুন: জ্বালানির দাম বাড়ছে না ফ্রান্সে
(সারাবিশ্বের সেরা সব খবরবাংলায় পড়তে চোখ রাখতে পড়ুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)