সুর কাটবেন না তো মোদী, চাপে ঢাকা

সূত্রের খবর, অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী এবং তাঁর পরিবারকেও। তালিকায় রয়েছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়, লালকৃষ্ণ আডবাণী, সীতারাম ইয়েচুরিরাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:০৮
Share:

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।—ফাইল চিত্র।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ যত এগিয়ে আসছে, চাপ বাড়ছে আওয়ামি লিগ শীর্ষ নেতৃত্বের উপর। আগামী ১৭ মার্চ শুরু হবে বর্ষ-ব্যাপী উৎসব। মূল অনুষ্ঠানে অন্যান্য দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনের নেতাদের পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও। বাংলাদেশ সূত্রের খবর, মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত আওয়ামি লিগের প্রবীণেরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর চাপ তৈরি করছেন মোদীর সফরকে নিয়ে। তাঁদের বক্তব্যের নির্যাস, ইন্দিরা গাঁধী ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অচ্ছেদ্য সম্পর্ক। মোদী ঢাকায় এসে গাঁধী পরিবারকে রাজনৈতিক ভাবে আক্রমণ করলে বা কংগ্রেস নেতৃত্বের কড়া সমালোচনা করলে অনুষ্ঠানের সুর কেটে যেতে পারে।

Advertisement

সূত্রের খবর, অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী এবং তাঁর পরিবারকেও। তালিকায় রয়েছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়, লালকৃষ্ণ আডবাণী, সীতারাম ইয়েচুরিরাও। ফলে বাংলাদেশ স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে, মুক্তিযুদ্ধে নেহরু গাঁধী পরিবারের অবদানকে অস্বীকার করার উপায় নেই। আবার ভারতের বহুদলীয় গণতন্ত্রকেও মান্য করে বাংলাদেশ। বিষয়টি মোদী সরকার কী ভাবে নেবে, সেটা স্পষ্ট নয় এখনও।

এমনিতেই এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্যগুলি হজম করা সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ঢাকার। বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানকে বার বার একসূত্রে গাঁথা, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়নের মতো বিষয়গুলি সংসদের বক্তৃতায় রেকর্ড হয়ে রইল। এর আগে করা শাহের ‘উইপোকা’ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়াও বাংলাদেশে খুবই খারাপ।

Advertisement

রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, বাংলাদেশে ভারতের প্রাক্তন হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বিদেশসচিব হয়ে আসায় ঢাকাকে সদর্থক বার্তা দেওয়া গিয়েছে, কিন্তু তিনি এক জন সরকারি অফিসার মাত্র। রাজনৈতিক নেতৃত্বের কোনও পদক্ষেপ বা সিদ্ধান্ত বদলানোর ক্ষমতা তাঁর নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন