Train Hijacked in Pakistan

‘উপায় ছিল না’! পাক প্রশাসনকেই দায়ী করে জাফর এক্সপ্রেস কাণ্ডের ভিডিয়ো দিলেন বালোচ বিদ্রোহীরা

বালোচ বিদ্রোহীদের অভিযোগ, পাকিস্তান সরকার বিচার ছাড়াই বালোচিস্তানের মানুষকে খুন করছে। এই ‘গণহত্যা’ নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলি চুপ রয়েছে বলেও অভিযোগ বিদ্রোহীদের।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২৫ ১৮:০১
Share:

পাকিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস অপহরণের দায় স্বীকার করেছিল বালোচ বিদ্রোহীরা। — ফাইল চিত্র।

গত মার্চে পাকিস্তানের জাফর এক্সপ্রেস অপহরণ করেছিলেন বালোচ বিদ্রোহীরা। কী ভাবে অপহরণ করা হয়েছিল, কোন পরিস্থিতিতে তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তা বিশদে জানিয়ে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছে বালোচ লিবারেশন আর্মির সংবাদমাধ্যম শাখা হাক্কাল। দক্ষিণ-পশ্চিম বালোচিস্তানের এক প্রত্যন্ত জায়গায় রেল লাইন উড়িয়ে দিয়েছিলেন বিদ্রোহীরা। তার পরে অপহরণ করেছিলেন আস্ত ট্রেন, যাতে সওয়ার ছিলেন ৪৫০ জন।

Advertisement

বিদ্রোহীদের ভাষায় ওই অপহরণকাণ্ডের নাম ছিল ‘অপারেশন দারা-এ-বোলান ২.০’। বালোচিস্তানের বোলানে হয়েছিল সেই কাণ্ড। সে কারণেই এই নামকরণ। কী ভাবে পাকিস্তানি সেনার উপর হামলা করা হয়েছিল, কী ভাবে অপহরণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তার জন্য কী ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল বিদ্রোহীদের, সবই রয়েছে ভিডিয়োতে। ১১ মার্চ পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস কী ভাবে অপহরণ করেছিল বালোচ বিদ্রোহীদের মজিদ ব্রিগেড, তার ঝলকও রয়েছে ৩০ মিনিটের ভিডিয়োতে।

ভিডিয়োতে এক বিদ্রোহীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আমাদের লড়াই এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে, যেখানে আমরা এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের যুবকেরা এই পদক্ষেপ করার জন্য প্রস্তুত ছিল। তারা জানত, এ ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না।’’ তাঁকে আরও বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘বন্দুক থামাতে বন্দুকের প্রয়োজন। নিজেদের জীবনের পরোয়া না করেই তরুণ বালোচেরা শত্রুকে হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুত্রেরা বাবাকে পিছনে ফেলে আত্মবলিদানের জন্য তৈরি হলে পিতারাও একই কাজের জন্য তৈরি।’’ বালোচ বিদ্রোহীদের অভিযোগ, পাকিস্তান সরকার বিচার ছাড়াই বালোচিস্তানের মানুষকে খুন করছে। এই ‘গণহত্যা’ নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলি চুপ রয়েছে বলেও অভিযোগ বিদ্রোহীদের। কেন তারা চুপ, সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিদ্রোহীরা। এই অপহরণকাণ্ডে নিহত বালোচ বিদ্রোহীর নামও প্রকাশ করা হয়েছে ভিডিয়োতে।

Advertisement

পাকিস্তানের কোয়েটা থেকে ৪৫০ জন যাত্রীকে নিয়ে পেশোয়ারে যাচ্ছিল জাফর এক্সপ্রেস। ভৌগোলিক ভাবে প্রতিকূল ওই এলাকায় প্রায় ৩০ ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে জাফর এক্সপ্রেস থেকে বেশির ভাগ যাত্রীকে উদ্ধার করে পাকিস্তানের নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী। নিহত হন ২১ জন সাধারণ মানুষ এবং চার জন জওয়ান। সেনা অভিযানে ৩৩ জন বিদ্রোহীরও প্রাণ যায়। যদিও পাকিস্তানের প্রশাসনের ওই পরিসংখ্যান অস্বীকার করেছিলেন বালোচ বিদ্রোহীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement