(সামনে) খালেদা জিয়া এবং জামায়েতপন্থী ‘ইসলামি ছাত্রশিবির’ সমর্থিত প্রার্থীরা (পিছনে)। ছবি: সংগৃহীত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জয়ী হল জামায়েতপন্থী ‘ইসলামি ছাত্রশিবির’ সমর্থিত প্যানেল। সবচেয়ে আলোচিত তিনটি পদ— সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’-এর প্রার্থীরা। এ ছাড়া ডাকসুর ১২টি সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ৯টিতেই জয়ী হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কট্টরপন্থী ধর্মীয় রাজনৈতিক সংগঠন জামায়াতপন্থী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থীরা। পাশাপাশি ১৩টি সদস্য পদের মধ্যে ১১টিতে জয়ী হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা।
প্রায় সাড়ে ছ’বছর পরে মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নির্বাচন ছিল। গত বছর বাংলাদেশে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে এই নির্বাচনের গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছিল। হাসিনার দলের ছাত্রশাখা ‘বাংলাদেশ ছাত্র লীগ’ বর্তমানে সে দেশে নিষিদ্ধ। ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মূলত ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের সঙ্গে লড়াই ছিল খালেদা জিয়ার দল বিএনপির ছাত্রশাখা ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল’-এর। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮টি পদের মধ্যে কোনওটিতেই জিততে পারেনি ছাত্রদলের প্রার্থীরা।
ডাকসুর ১২টি সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ৯টিতেই জয়ী হয়েছে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল। বাকি তিনটিতে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্যানেলের প্রার্থীরা। এ ছাড়া ১৩টি সদস্য পদের মধ্যে ১১টিতে জয়ী হয়েছেন জামায়েতপন্থীরা। বাকি দু’টির মধ্যে একটিতে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থী। অন্যটিতে জয়ী হয়েছেন বামপন্থী ছাত্র জোট সমর্থিত প্যানেল ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’-এর প্রার্থী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের শীর্ষ তিন পদ (ভিপি, জিএস, এজিএস)-এও জামায়েতপন্থীদের সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। ভিপি পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থী সাদিক কায়েম ১৪ হাজারেও বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। সেখানে ছাত্রদলের প্রার্থী পেয়েছেন সাড়ে পাঁচ হাজারের কিছু বেশি ভোট। জিএস-পদের জন্যও ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থী ১০ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন। ছাত্রদলের প্রার্থী পেয়েছেন তার অর্ধেক ভোট। এজিএস পদের জন্যও ভোটাভুটির চিত্রটা একই রকম।