জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজ়হারুল ইসলাম। —ফাইল চিত্র।
কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েই ‘বীরের সংবর্ধনা’ পেলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজ়হারুল ইসলাম। বুধবার ঢাকার শাহবাগ চত্বরে তাঁকে জামায়াতের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট তাঁর মৃত্যুদণ্ড মকুব করে নির্দোষ ঘোষণা করে। বুধবার সকালে আনুষ্ঠানিক ভাবে মুক্তি পান তিনি। জেল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বর্ষীয়ান এই নেতা। সেখান থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সোজা হাজির হন শাহবাগ মোড়ে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে গণহত্যা, গণধর্ষণ এবং যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ছিলেন আজ়হারুল। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জমানায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাঁর মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন আজ়হারুল। সেটি খারিজ হওয়ার পরে ২০২০ সালে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান তিনি। মঙ্গলবার বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ জামায়াত নেতার সাজা মকুব করে দিয়েছে।
মঙ্গলবার রাতেই জামায়াত নেতারা আজ়হারের সঙ্গে দেখা করেন। সেই ছবিও সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। আজ়হারের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে মিষ্টিমুখ করান জামায়াত নেতারা। ঢাকার যে হাসপাতালে জেল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন, বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ সেখান থেকে মুক্তি পান তিনি। হাসপাতাল চত্বর থেকেই তাঁকে নিয়ে আসা হয় শাহবাগ মোড়ের সংবর্ধনাসভায়। জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান-সহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন সংবর্ধনা মঞ্চে।
শাহবাগ মোড়ের ওই সমাবেশ থেকে আজ়হার বলেন, “প্রায় ১৪ বছর কারাগারে থাকার পর আজ সকালে মুক্তি পেলাম। আমি এখন মুক্ত। আমি এখন স্বাধীন। স্বাধীন দেশে আমি স্বাধীন নাগরিক একজন।” মৃত্যুদণ্ড মকুব হওয়ার পরে তিনি আরও বলেন, “যাদের কারণে আজকে মুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছি, সেই ছত্রিশে জুলাই, অর্থাৎ পাঁচই আগস্টের মহাবিপ্লবী নায়কদের আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, আন্দোলনের ফলেই স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল।”