এই ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন টম মোজেস।
নেচার রিজার্ভ পার্ক থেকে গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ক্যারল হোয়ার্থ। ৬৫ বছরের বৃদ্ধা হঠাত্ খেয়াল করলেন তাঁর গাড়ির পিছনে ছুটে আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি। এমনটা আগেও অনেক বার দেখেছেন ক্যারল। কিন্তু এত বিশাল মৌমাছির ঝাঁক ছুটে আসতে আগে দেখেননি কখনও। তবুও ব্যাপারটাকে আলাদা করে খুব একটা গুরুত্ব দেননি। ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট ওয়েলসে রবিবার দুপুরে শপিং মলের সামনে গাড়ি পার্ক করে কেনাকাটা করতে যান তিনি। আর তখনই নজরে পড়ে ব্যাপারটা। তাঁর গাড়ির পিছনটায় এসে বসে ঢেকে ফেলেছে হাজার হাজার মৌমাছি। হইচই পড়ে যায় এই অদ্ভুত দৃশ্য দেখে। ক্যারলের তো কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থা।
এই অবস্থায় এগিয়ে আসেন স্থানীয় ন্যাশনাল পার্কের এক রেঞ্জার। কীটনাশক দিয়ে যাতে মৌমাছিদের মেরে ফেলা না হয় তার নির্দেশ দিয়েই রোঞ্জার সাহেব যোগাযোগ করেন মৌমাছি পালকদের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত আনুমানিক কুড়ি হাজার মৌমাছির সেই ঝাঁককে কায়দা করে বন্দি করা হয় কার্ডবার্ডের বাক্সে।
কিন্তু ব্যাপারখানা কী? মৌমাছি বিশারদদের অনুমান, কোনও ভাবে রানি মৌমাছিটি আটকে পড়েছিল ক্যারলের গাড়িতে। তাকে উদ্ধার করতেই তাড়া করে উড়ে এসেছিল ওই মৌমাছির ঝাঁক। তবে সেই রানি মৌমাছির কোনও সন্ধান কিন্তু মেলেনি। বনকর্মীরা জানাচ্ছেন, রানি মৌমাছি মৌচাক বদল করলেও তাকে অনুসরণ করে মৌমাছি কলোনির সদস্যরা। কেন আস্তানা বদলায় মৌরানি? মানুষ বা অন্য কেউ সেখানে বিরক্ত করলে, অথবা অন্য কোনও রানি মৌমাছি সেখানে চলে এলে। কিন্তু এই মৌমাছির ঝাঁকের রানিমার কী হয়েছিল? সে প্রশ্নের উত্তর শেষ পর্যন্ত মেলেনি। খোঁজ মেলেনি তারও। কিন্তু এমন বিরল অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে পেরে যারপরনাই উত্তেজিত ক্যারল হোয়ার্থ। ৬৫ বছরের জীবনে কত কীই না দেখলেন! কিন্তু এমন দেখা কমই মেলে।