(বাঁ দিক থেকে) আয়াতোল্লা আলি খামেনেই, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। —ফাইল চিত্র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খুন করতে চায় ইরান। এমনই দাবি করলেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। রবিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ফক্স নিউজ়’-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে ইরানের ‘পয়লা নম্বর শত্রু’ বলে অভিহিত করেন। এ-ও দাবি করেন যে, ইরান তাঁকেও হত্যার চেষ্টা করেছে।
নেতানিয়াহু বলেন, “ওরা (ইরান) তাঁকে (ট্রাম্প) খুন করতে চায়। উনি শক্তিশালী নেতা। অন্যদের মতো উনি দুর্বল কোনও শর্ত নিয়ে ইরানের সঙ্গে দর কষাকষির পথে হাঁটেননি। উনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, আপনাদের কাছে পরমাণু অস্ত্র থাকতে পারে না। অর্থাৎ আপনি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি চালাতে পারেন না।”
রবিবারই ট্রাম্প প্রশাসনের দুই আধিকারিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের কাছে দাবি করেছিলেন যে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনেইকে সম্প্রতি হত্যার ছক কষেছিল ইজ়রায়েল! কিন্তু তাতে আপত্তি জানান ট্রাম্প। ঘটনাচক্রে, রয়টার্সের ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পরেই সাক্ষাৎকারটি দেন নেতানিয়াহু। সেখানে ট্রাম্পকে খুন করার জন্য ইরান চেষ্টা করছে, এই অভিযোগ তুলে তিনি তেহরানের ‘প্রকৃত স্বরূপ’ ওয়াশিংটনের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করেন বলে মনে করা হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, ট্রাম্প ‘মহানুভবতা’ দেখালেও ইরান শক্তের ভক্ত, ঠারেঠোরে এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন নেতানিয়াহু। যদিও সাক্ষাৎকারে আমেরিকার আধিকারিকদের ওই দাবি অস্বীকার করেছেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী। নেতানিয়াহু বলেন, “অনেক ভুয়ো খবর ছড়ায়, যা নিয়ে কখনও কথাবার্তাই হয়নি। আমি এটি নিয়ে ভাবতে চাই না।”
রবিবারও ইরানের আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের নেতৃত্বাধীন জমানার সমালোচনা করে নেতানিয়াহু দাবি করেন, তাঁর শয়নকক্ষের জানলা লক্ষ্য করেও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। তবে কোন সময় এটি হয়েছে, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। কেন ইরানের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে হল, তার ব্যাখ্যা দিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, “ইজ়রায়েল কেবল নিজের সুরক্ষার স্বার্থেই লড়াই করছে না, গোটা বিশ্বের সুরক্ষার স্বার্থে লড়াই করছে।” ইজ়রায়েলি হানার কারণে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কিছুটা হলেও গতি হারাবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।