বিল ক্লিন্টন
বইপ্রকাশ অনুষ্ঠান। উপস্থিত ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ইজ় মিসিং’-এর লেখক বিল ক্লিন্টন। তাঁর মুখোমুখি আর এক লেখক ওয়াল্টার মোজ়লি। তবে নয়া লেখকের বইয়ের প্রসঙ্গ ছাপিয়ে উঠে এল প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বহুচর্চিত সম্পর্কের কথা। উঠে এল ‘মি টু’ প্রসঙ্গও।
‘‘ব্যক্তিগত ভাবে ক্ষমা চেয়েছিলেন মনিকা লিউইনস্কির কাছে?’’ সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন বিল ক্লিন্টন। জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘‘না।’’ আরও বলেছিলেন, ‘‘এর কোনও প্রয়োজন বোধ করিনি’’। তাতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। নতুন বই নিয়ে চর্চা চাপা পড়ে যায় পুরনো কেচ্ছার তলায়।
সোমবারের বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে নিজেই সেই বিতর্কিত সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ তোলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। বলেন, ‘‘সত্যিটা হল, যে ভাবে আমাকে প্রশ্নগুলো করা হয়েছিল, তাতেই এত বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল।’’ ক্লিন্টনের আক্ষেপ, ‘‘গত ২০ বছর ধরে বলা হয়, আমি কখনও আমার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইনি। কিন্তু যাঁরা এটা বলেন, তাঁরা ভুলে যান যে, হোয়াইট হাউসের বিশেষ প্যানেলের সামনে আমি আমার পরিবারের কাছে, মনিকা লিউইনস্কি ও তাঁর পরিবারের কাছে, গোটা দেশের কাছে ক্ষমা চেয়েছি।’’ বিল আরও জানান, পরে মনিকা বা তাঁর পরিবারের কারও সঙ্গে তাঁর আর দেখা হয়নি। ‘‘ফলে ব্যক্তিগত ভাবে ক্ষমা চাওয়ার কোনও সুযোগও পাইনি,’’ বলেন ক্লিন্টন।
সোমবারের সাক্ষাৎকারে ক্লিন্টন আরও বলেন, ‘‘আমি ‘মি টু’ আন্দোলনকে সমর্থন করি। আমার মনে হয়, অনেক দিন আগেই এ ধরনের আন্দোলন শুরু হওয়া উচিত ছিল।’’ ‘মি টু’ আন্দোলনের সময়ে মনিকার প্রসঙ্গও উঠে এসেছিল। এ বিষয়ে প্রাক্তন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্টের মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি ঘুরিয়ে বলেন, ‘‘আসলে ওভাল অফিসে এখন যিনি বসে আছেন, তাঁর বিরুদ্ধেই তো ভূরি ভূরি অভিযোগ। তাই হতাশায় ভুগছেন ওঁরা।’’