(বাঁ দিকে) ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার। এমআই৬ এর নতুন প্রধান ব্লেইস মেট্রেওয়েলি (ডান দিকে) — ফাইল চিত্র।
ব্রিটেনের বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স ৬ (এমআই৬)-এর নয়া প্রধান হয়ে নজির গড়লেন এক নারী! নাম ব্লেইস মেট্রেওয়েলি। ব্লেইসের এই ‘ঐতিহাসিক’ নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার স্বয়ং। ঐতিহাসিকই বটে! কারণ, দেশের গত ১১৬ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও নারী গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষপদে বসলেন।
স্টার্মার জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষ দিকে দায়িত্ব নিতে চলেছেন ব্লেইস। এমআই৬-এর প্রধানকে সাধারণত ‘সি’ নামে ডাকা হয়। ওই পদে থাকা ব্যক্তিই সংস্থার একমাত্র আধিকারিক, যিনি জনসমক্ষে আসেন। বাকি সকলের পরিচয় গোপন রাখাই দস্তুর। ১৯০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই গোয়েন্দা সংস্থার বর্তমান ‘সি’ রিচার্ড মুর। তবে তাঁর মেয়াদ প্রায় শেষ। ফলে শরৎ শেষের আগেই মুরের স্থলাভিষিক্ত হয়ে নজির গড়বেন ব্লেইস। আর তা-ই যদি হয়, তা হলে এমআই৬-এর এত বছরের ইতিহাসে তিনিই হবেন প্রথম নারী প্রধান।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃতত্ত্ব নিয়ে পড়াশোনা করেন ব্লেইস। এর পর ১৯৯৯ সালে যোগ দেন ব্রিটেনের সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসে। বর্তমানে এমআই৬-এর ডিরেক্টর জেনারেল বা ‘কিউ’ হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সংস্থার যাবতীয় প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন সংক্রান্ত কাজ তিনিই পরিচালনা করেন। এর আগে ব্রিটেনের অন্তর্দেশীয় গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৫-এর অন্যতম শীর্ষপদেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ‘কিউ’ থেকে পদোন্নতির পর তিনিই বসতে চলেছেন সংস্থার ১৮তম ‘সি’ পদে।
এমআই৬-এর প্রধান হিসেবে ব্লেইসের নিয়োগকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করেছেন স্বয়ং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্টার্মার। তিনি বলেন, ‘‘জলপথে গুপ্তচর জাহাজ পাঠানো থেকে শুরু করে সাইবার হানা— সাম্প্রতিক সময়ে ব্রিটেনের উপর একের পর এক আক্রমণ নেমে আসছে। এই সঙ্কটের মুহূর্তে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই আবহে এমন সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক।’’