নিহত নাজিমুদ্দিন সামাদ। ছবি : ফেসবুকের সৌজন্যে।
ফের মুক্ত ভাবনার মাশুল দিতে হল আর এক স্বাধীনচেতাকে। সন্দেহভাজন মৌলবাদীরা প্রকাশ্য রাস্তায় কুপিয়ে খুন করল নাজিমুদ্দিন সামাদ (২৮) নামে এক ব্লগারকে। তাঁর ‘অপরাধ’? খুন হওয়ার আগের দিন তিনি নিজের ফেসবুক পাতায় লিখেছিলেন, “আমি কোনও ধর্মে বিশ্বাস রাখি না।” উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের এক্রামপুরে। নিহত নাজিমুদ্দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘সরকারের লোকের’ গায়ে হাত ! বিব্রত টিএমসিপি
পুলিশ জানিয়েছে, গত কাল রাতে তিনি কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। এক্রামপুর এলাকার তিন দুষ্কৃতী মোটরবাইকে করে এসে রাস্তাতেই তাঁকে ফেলে মারধর করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপানো হয়। তার পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে কয়েক রাউন্ড গুলি করে ওই অবস্থাতেই তাঁকে ফেলে পালিয়ে যায়। তাঁকে হত্যার সময় দুষ্কৃতীরা নিজেদের ধর্ম স্মরণ করছিলেন বলে স্থানীয়েরা জানান। রাস্তায় প্রায় ১ ঘণ্টা এই ভাবেই পড়ে ছিল তাঁর ক্ষত-বিক্ষত রক্তাক্ত দেহ। পরে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তাঁর এক বন্ধু জানান, নাজিমুদ্দিন দীর্ঘদিন ধরেই ধর্মান্ধতা-বিরোধী প্রচার করতেন। গণজাগরন মঞ্চ নামে তাঁর একটি সংগঠনও রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁর উপর নজর রেখেছিল। তিনি কোন সময়ে কোথায় যান সবই তাঁদের জানা ছিল। ঘটনা এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
গত বছরই বাংলাদেশে ৪ জন ব্লগারকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল। তাঁরাও প্রত্যেকেই ধর্মান্ধতা বিরোধী সুর চড়িয়েছিলেন।