অনলাইনে বই অর্ডার দিয়ে মিলল টিউমার!

বই পড়ার নেশা। সামনে বই পেলে আর কিছুই চান না ব্রিটেনের বাসিন্দা জেমস পোটেন। বছর সাঁইত্রিশের জেমস পেশায় পরিবেশবিদ। সম্প্রতি ফেডএক্স প্যাকেজ নামে একটি অনলাইন সংস্থার দফতরে কিন্ডল ই-বুক অর্ডার দেন জেমস। নির্ধারিত দিনে ব্রিস্টলে জেমসের বাড়িতেও পৌঁছে যায় জেমসের অর্ডার দেওয়া কিন্ডল ই-বুকটি। কিন্তু পার্সেলটি খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ জেমসের। এ কী! এ তো বই নয়। বন্ধ প্যাকেট খুলে বইয়ের জায়গায় একটি টিউমারকে দেখেন জেমস।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৬ ১২:০৯
Share:

এই পার্সেল ঘিরেই এত হুলুস্থুল। ছবি: টুইটার।

বই পড়ার নেশা। সামনে বই পেলে আর কিছুই চান না ব্রিটেনের বাসিন্দা জেমস পোটেন। বছর সাঁইত্রিশের জেমস পেশায় পরিবেশবিদ। সম্প্রতি ফেডএক্স প্যাকেজ নামে একটি অনলাইন সংস্থার দফতরে কিন্ডল ই-বুক অর্ডার দেন জেমস।

Advertisement

নির্ধারিত দিনে ব্রিস্টলে জেমসের বাড়িতেও পৌঁছে যায় জেমসের অর্ডার দেওয়া কিন্ডল ই-বুকটি। কিন্তু পার্সেলটি খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ জেমসের। এ কী! এ তো বই নয়। বন্ধ প্যাকেট খুলে বইয়ের জায়গায় একটি টিউমারকে দেখেন জেমস। প্রথমে ভাবেন নিজেরই ভুল হয়েছে। নিজেরই আরও মনোযোগী হয়ে ডেলিভারি হওয়া প্যাকেটটি নেওয়া উচিত ছিল। ঘটনার জন্য নিজেকেই দোষারোপ করতে শুরু করেন জেমস। মন খারাপ করে বসে আছেন, এমন সময় প্যাকেট থাকা নিজের নামে চোখ আটকে যায় তাঁর। আরে! ক্রেতার নামের জায়গা যে তাঁরই নাম।

তবে এ তো তাঁর কোনও ভুল নয়। তবে এই টিউমারটি নিশ্চয় কোন হাসপাতালে পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হচ্ছিল। শীঘ্রই টিউমারটি ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা উচিত সেই ভেবে প্রথমেই ডেলিভারি সংস্থা ফেডএক্স- এর সঙ্গে দেখা করেন জেমস।

Advertisement

জেমসের জন্য আরও বিস্ময় অপেক্ষা করছিল। সংস্থাটির সঙ্গে যোগাযোগ করে জেমস জানতে পারেন, টিউমারটি এক ক্যানসার আক্রান্তের। ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির টিউমারটি লন্ডনের রয়্যাল ফ্রি হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু মাঝপথে টিউমারটি পথ বদলে ব্রিস্টলে এসে পৌঁছয়। জেমসের অর্ডার দেওয়া পার্সেলের সঙ্গে এই টিউমারটির পার্সেলের আশ্চর্য মিল। ট্র্যাকিং কোডের প্রথম পাঁচটি এবং শেষ তিনটি সংখ্যা একই।

প্রতিনিধি পাঠিয়ে টিউমারটি জেমসের কাছ থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে যায় ফেডএক্স। তবে নিজেদের যে গাফিলতি ছিল তা মানেনি সংস্থাটি। নাম কা ওয়াস্তে ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেও ঘুরিয়ে জেমসের ঘাড়েই দোষ চাপানোর চেষ্টা করে তারা। “আমরা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু সেই সময় আপনি বাড়ি ছিলেন না।” বলে জেমসকে বলার জন্য চাপ দেয় সংস্থাটি।

একে তো সাধের কিন্ডল ই-বুকও জুটল না, উপড়ি পাওনা হিসেবে জুটল এত হয়রানি। বিখ্যাত অনলাইন সংস্থাটির ‘পেশাদারিত্বে’ যারপরনাই ক্ষুব্ধ জেমস পোটেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন