লিউ জিয়া। ছবি- রয়টার্স
অবশেষে মুক্তি। নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী লিউ জিয়াবো-র স্ত্রী লিউ জিয়াকে দেশ ছাড়ার অনুমতি দিল চিনা বিদেশমন্ত্রক। ২০১০ সাল থেকে তাঁকে গৃহবন্দি করে রেখেছিল চিন সরকার। জানা গিয়েছে, চিন ছেড়ে তিনি পৌঁছেছেন জার্মানিতে। তাঁর মুক্তিতে খুশি সারা বিশ্বের মানবাধিকার আন্দোলনের কর্মীরা।
২০১০ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন তাঁর স্বামী লিউ জিয়াবো। তার এক বছর আগেই সরকারের সমালোচনার দায়ে জেলবন্দি করা হয়েছিল জিয়াবোকে। কমিউনিস্ট চিনে রাজনৈতিক সংস্কার চাওয়াই ছিল তাঁর অপরাধ। স্ত্রী লিউ জিয়ার বিরুদ্ধে কোনও অপরাধের অভিযোগ নেই। তা সত্ত্বেও স্বামীর নোবেল পাওয়ার অপরাধে ২০১০ থেকেই গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছিল স্ত্রীকে। কিছুদিন আগে তিনি বলেছিলেন, এভাবে বেঁচে থাকার চেয়ে মৃত্যু তাঁর কাছে অনেক সহজ।
কবি হিসেবে পরিচিত লিউ জিয়ার মুক্তির দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই বেজিং সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছিল আমেরিকা ও জার্মানি। সঙ্গে ছিলেন মানবাধিকার আন্দোলনের কর্মীরাও। গত বছরই ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তাঁর নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী স্বামী। তারপর থেকে তিনিও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক চাপের মুখেই তাঁকে ছাড়তে বাধ্য হল চিন। চিন বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, চিকিৎসার জন্য জার্মানি যাচ্ছেন লিউ জিয়া।
আরও পড়ুন: নরম ব্রেক্সিট! পদত্যাগ এ বার বিরক্ত জনসনেরও
বিষয়টির সঙ্গে কূটনীতি ও বাণিজ্যও যুক্ত আছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চিনা পণ্যে একতরফা শুল্ক বসানোয় আমেরিকার ওপর ক্ষুব্ধ চিন। মার্কিন বাণিজ্যনীতির বিরুদ্ধে লড়াইতে ইউরোপকে পাশে চায় বেজিং। সোমবারই জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন চিনা প্রধানমন্ত্রী। জুলাইতেই চিনে যাচ্ছেন ইউরোপিয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা। নিজের প্রয়োজনে ইউরোপকে খুশি করতেই এই চিনা সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।