Electromagnetic Missile

EMP Missile: ‘ব্ল্যাক আউট বোমা’ বানাল চিন! শহরের যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা উড়িয়ে দিতে সক্ষম

শব্দের চেয়ে ছ’গুণ বেশি গতিসম্পন্ন এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি বলে দাবি করা হচ্ছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেজিং শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২১ ১৭:০৩
Share:

ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্ষেপণাস্ত্র।

ইলেকট্রোম্যাগনেটিক পালস ক্ষেপণাস্ত্র বানাল চিন। শব্দের চেয়ে ছ’গুণ বেশি গতিসম্পন্ন এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা তিন হাজার ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি বলে দাবি করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই ক্ষেপণাস্ত্র কোনও শহরে রাসায়নিক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সেই শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ স্তব্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

বেজিঙের অ্যাকাডেমি অব লঞ্চ ভেহিকল টেকনোলজি-র বিজ্ঞানীদের দাবি, এই ক্ষেপণাস্ত্রকে এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে নজরদারি চালানোর জন্য মহাকাশে যে আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম রয়েছে সেই ব্যবস্থাকেও ধোঁকা দিতে পারে। প্রসঙ্গত, আমেরিকা এবং রাশিয়ার মতো দেশগুলি নিজেদের নজরদারি উপগ্রহের মাধ্যমে গোটা বিশ্বে নজর রাখে। ফলে পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ হলে তার নির্দিষ্ট সময় এবং তথ্য তাদের হাতে চলে যায়। এর মাধ্যমে তারা আন্দাজ করতে পারে যে সেই ক্ষেপণাস্ত্র কোথায় আঘাত হানতে চলেছে। কিন্তু সেই ব্যবস্থাকেও বোকা বানাতে পারে বলে দাবি করেছে বেজিঙের ওই সংস্থার বিজ্ঞানীরা।

Advertisement

কী ভাবে কাজ করবে এই ক্ষেপণাস্ত্র?

লক্ষ্যস্থলে পৌঁছনোর পর ওই ক্ষেপণাস্ত্র থেকে রাসায়নিক বিস্ফোরণ হতে শুরু করে। ফ্লাক্স কমপ্রেশন জেনারেটর-এর মাধ্যমে একটা শক এনার্জি তৈরি হয়। যা ১০ সেকেন্ডের জন্য লক্ষ্যস্থলের বিভিন্ন যোগাযোগ ব্যস্থা এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। যেখানে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হবে তার দু’কিলোমিটার এলাকার মধ্যে সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্তব্ধ হয়ে যাবে। এবং ওই এলাকার সমস্ত বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন