ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক কি তলানিতে ঠেকেছে? শিক্ষকরা কি যথার্থ সম্মান পাচ্ছেন?বিশ্বজুড়ে এ নিয়েই সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল ব্রিটেনের ভারকে ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা। ছাত্র-শিক্ষক সুসম্পর্ক ও খারাপ সম্পর্কের নিরিখে কোন দেশ শীর্ষে আর কে একেবারে পিছনের সারিতে? ভারতের স্থানই বা কোথায়? দেখে নেওয়া যাক।
বিশ্বের ৩৫টি দেশে এই সম্পর্ক নিয়ে সমীক্ষা চালায় তারা।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ছাত্র-শিক্ষক সুসম্পর্কের নিরিখে শীর্ষ স্থানে রয়েছে চিন।তার পরেই রয়েছে মালয়েশিয়া, তাইওয়ান, রাশিয়া, কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া।
ছাত্র-শিক্ষক সুসম্পর্কের নিরিখে অষ্টম স্থানে রয়েছে ভারত।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ব্রাজিলের। সমীক্ষা অন্তত তেমনটাই বলছে। সে দেশে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক একদম তলানিতে ঠেকেছে।
খারাপ সম্পর্কের নিরিখে ব্রাজিলের ঠিক আগেই রয়েছে ইজরায়েল, ইতালি, ঘানা ও আর্জেন্তিনা।
খুব ভালও নয়, আবার খুব খারাপও নয়— ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যেএমন মাঝামাঝি সম্পর্ক রয়েছে যে সব দেশে সেই তালিকায় রয়েছে জার্মানি, ফ্রান্স, মিশর, জাপান, ফিনল্যান্ড এবং আমেরিকা।
শুধু ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কই নয়, শিক্ষকদের প্রতি সম্মান এবং এই পেশাকে কেমন চোখে দেখা হয় তা নিয়েও সমীক্ষা করেছিল ভারকে। কী বলছে সেই সমীক্ষা?
সমীক্ষা বলছে, বয়স্ক মানুষরা শিক্ষকদের সবচেয়ে বেশি সম্মান দেন। স্নাতক নয় এমন এক জন ছাত্রের থেকে শিক্ষকরা বেশি সম্মান পান স্নাতকদের কাছ থেকে।
সমীক্ষা বলছে মহিলাদের চেয়ে পুরুষরা শিক্ষকদের সম্মান দেন বেশি। যাঁদের সন্তান রয়েছে তাঁরা নিঃসন্তানদের তুলনায় শিক্ষকদের সম্মান দেন বেশি। ইসলাম ধর্মে শিক্ষকদের সম্মান দেওয়া হয় বেশি।
শিক্ষকদের পেশায় কি ছাত্ররা যেতে চান? সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ভারত, চিন, ঘানা ও মালয়েশিয়ায় অভিভাবকরা সন্তানদের এই পেশাতেই দেখতে বেশি আগ্রহী। তুলনায় ইউরোপের দেশগুলিতে অভিভাবকরাএই পেশাটাকে খুব একটা পছন্দ করেন না।