International news

‘আতঙ্কিত হবেন না’, করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েই নিজের কাহিনি পোস্ট মার্কিন তরুণীর

৩৭ বছরের ওই তরুণী নিজেও কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেখান থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেই ফেসবুকে নিজের কাহিনি শেয়ার করেছেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২০ ১৬:৫৮
Share:

এলিজাবেথ স্কেইনডার। ছবি: ফেসবুক থেকে।

মানুষ করোনাভাইরাস নিয়ে অহেতুক আতঙ্কগ্রস্ত যাতে না হয়ে পড়েন, তার জন্য নিজের গল্প শেয়ার করলেন আমেরিকার সিয়াটলের বাসিন্দা এক তরুণী। ৩৭ বছরের ওই তরুণী নিজেও কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেখান থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেই ফেসবুকে নিজের কাহিনি শেয়ার করেছেন তিনি।

Advertisement

ওই তরুণীর নাম এলিজাবেথ স্কেইনডার। আমেরিকার মধ্যে ওয়াশিংটন থেকেই এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর এসেছে। সেই ওয়াশিংটনের সিয়াটেলেরই বাসিন্দা এলিজাবেথ। তিনি একটি বায়োটেকনোলজি সংস্থার ম্যানেজার পদে কর্মরত।

সম্প্রতি কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে সু্স্থ হয়ে উঠেছেন এলিজাবেথ। আক্রান্ত অবস্থায় সময়টা তাঁর কেমন কেটেছে, কী কী লক্ষণ ছিল রোগের, এ সব নিয়েই ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি। ওই ফেসবুক পোস্টে এলিজাবেথ যা লিখেছেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারি একটা পার্টিতে গিয়েছিলেন, তার তিন দিন পর থেকেই অসুস্থতা অনুভব করতে শুরু করেন তিনি। তবে করোনাভাইরাস আক্রান্তের যে লক্ষণগুলোতেই বেশি জোর দেওয়া হয়েছে সচরাচর, যেমন হাঁচি-কাশি, সেগুলোর কোনওটাই তাঁর ছিল না। খুব বেশি পরিশ্রম করলে যেমন দুর্বলতা হয়, অনেকটা সে রকমই ছিল।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘নজিরবিহীন, পরিস্থিতি’, করোনা নিয়ে বললেন বিদেশমন্ত্রী

এলিজাবেথ জানান, এর আগের সপ্তাহটা তাঁর খুব পরিশ্রম গিয়েছে। ভেবেছিলেন, সে কারণেই এমনটা হচ্ছে। মাথাব্যথা, সারা গায়ে ব্যথা আর সঙ্গে জ্বর জ্বর ভাব। প্রথমে তাতে খুব একটা গুরুত্ব দেননি তিনি। তিনি পরদিন ঘুম থেকে উঠে দেখেন, ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট জ্বর। সঙ্গে কাঁপুনি হতে থাকে। যেহেতু করোনাভাইরাসের সাধারণ লক্ষণ হাঁচি-কাশি এবং শ্বাসকষ্ট কোনওটাই তাঁর ছিল না, তাই চিকিৎসকও তাঁকে সাধারণ জ্বরের ওষুধ দিয়ে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু ওষুধে তেমন কাজ দিচ্ছিল না, তার উপর তিনি যে পার্টিতে যোগদান করেছিলেন, ওই পার্টির আরও কয়েকজনের মধ্যে একই অসুস্থতার কথা শুনে করোনাভাইরাস টেস্ট করানোর সিদ্ধান্ত নেন এলিজাবেথ।

টেস্টে কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়। তবে ততদিনে তিনি আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন, তাই চিকিৎসকেরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির বদলে বাড়িতেই নিজেকে আলাদা রাখতে বলেছিলেন। সেই সঙ্গে বিশ্রাম ও প্রচুর পরিমাণে জল খেতে বলেছিলেন।

আরও পড়ুন: করোনাকে ‘অতিমারী’ ঘোষণা করল হু, ইউরোপীয়দের আমেরিকা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

এই মুহুর্তে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। সাতদিন নিজেকে ঘরে বন্দি রাখার পর দৈনন্দিন স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে শুরু করেছেন। তবে এখন অনেক সাবধানে থাকছেন। মানুষের ভিড় এড়িয়ে চলছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন