দাউদ ইব্রাহিম।-ফাইল চিত্র।
ইসলামাবাদ বরাবর অস্বীকার করে গেলেও, ‘মাফিয়া ডন’ দাউদ ইব্রাহিম ঘনঘনই যান পাকিস্তানে। থাকেন। জায়গা বদলে বদলে ঘোরেন পাকিস্তানে। পাকিস্তানে কম করে ৬টি জায়গায় পাকাপাকি ঠিকানা রয়েছে দাউদ ইব্রাহিমের। ভারতের তরফে ওই ঠিকানাগুলির যে-তালিকা দেওয়া হয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জকে, তাতে অন্তত ৬টি জায়গার নামধামে কোনও ভুলচুক নেই বলে জানাল রাষ্ট্রপুঞ্জ।
দুই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএসআইএল এবং আল-কায়েদার জনাকয়েক শীর্ষ নেতার অন্য দেশে ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় রাষ্ট্রপুঞ্জের তিনটি সনদে। ১৯৯৯ সালের ১২৬৭, ২০১১-র ১৯৮৯ এবং ২০১৫ সালের ২২৫৩ নম্বর সনদে। ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনার মূল চক্রী দাউদ ইব্রাহিমের অন্য দেশে ভ্রমণের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের।
কিন্তু তার পরেও দাউদ কারণে, অকারণে বহু বার পাকিস্তানে গিয়েছেন, থেকেছেন বলে বহু দিন ধরেই দাবি করে আসছিল দিল্লি। আর ইসলামাবাদ তা বরাবরই অস্বীকার করে যাচ্ছিল। মুম্বই হামলার ঘটনার পর দাউদ পাকিস্তানের কোন কোন জায়গায় গিয়েছেন, কোন কোন ঠিকানায় থেকেছেন, শেষ পর্যন্ত তার একটা তালিকা ভারতের তরফে রাষ্ট্রপুঞ্জের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। সেই তালিকায় পাকিস্তানের ৯টি ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ওই ঠিকানাগুলিতেই দাউদ পাকিস্তানে গিয়ে থেকেছেন, থাকেন। পাকিস্তানে গিয়ে মূলত, ওই সব জায়গাতেই ঘোরাফেরা করেন তিনি।
রাষ্ট্রপুঞ্জ অবশ্য সেই তালিকা থেকে ‘ভুল’, এই যুক্তিতে তিনটি ঠিকানা বাদ দিয়েছে। বলা হয়েছে, ‘ভুল’ তিনটি ঠিকানার অন্যতম রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানের দূত মালিহা লোধির বাড়ি। লোধির বাড়ি করাচিতে। করাচিতে দাউদের যে আরও দু’টি ‘ঠিকানা’ ভারতের তরফে জানানো হয়েছিল, তাতেও ‘ভুলচুক’ হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের এক পদস্থ কর্তা অবশ্য পরে লোধির বাড়ির ঠিকানা দেওয়ার ভুল কবুল করেছেন।
আরও পড়ুন- জঙ্গি দমনে পাশেই আছি, বার্তা সু চি-র