US Tariff

মস্কোর উপর চাপ সৃষ্টি করতেই কি ভারতের উপর অতিরিক্ত শুল্কের খাঁড়া? ট্রাম্প-নীতির ব্যাখ্যা দিল হোয়াইট হাউস

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, মূলত ইউক্রেনে সংঘাতের অবসান ঘটাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য ভারতীয় পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২৫ ১৬:১০
Share:

ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভ্লাদিমির পুতিন এবং নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য মস্কোর উপর চাপ সৃষ্টি করতেই ভারতীয় পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্কের বোঝা চাপিয়েছিল আমেরিকা! এ বার ট্রাম্প-নীতির ব্যাখ্যা দিয়ে এমনটাই জানাল হোয়াইট হাউস।

Advertisement

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, মূলত ইউক্রেনে সংঘাতের অবসান ঘটাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য ভারতীয় পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্যারোলিন বলেন, “প্রেসিডেন্ট এই যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য নানা ভাবে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। যেমন তিনি ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর মতো নানা পদক্ষেপ করেছেন।” এর পরেই ক্যারোলিন জানান, আদতে ট্রাম্পের উদ্দেশ্য ছিল মস্কোর উপর পরোক্ষে চাপ সৃষ্টি করা।

গত ১৫ অগস্ট আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠক হয়। তবে অনেকের দাবি ছিল, রাশিয়ার থেকে ভারতের তেল কেনার প্রসঙ্গটিও উঠতে পারে সেই বৈঠকে। রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাস্কায় প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন ট্রাম্প। বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কোনও সমাধানসূত্র বেরোয়নি। তবে দুই রাষ্ট্রনেতারই দাবি, বৈঠক ‘ফলপ্রসূ’ হয়েছে। সোমবার (স্থানীয় সময়) হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গেও আলোচনায় বসেন ট্রাম্প। বৈঠকের পর স্পষ্ট যে, শীঘ্রই পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি বসতে পারেন জ়েলেনস্কি। শীঘ্রই আমেরিকাকে নিয়ে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠকও হতে পারে। মার্কিন প্রেস সেক্রেটারির কথায়, ‘‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চান। তিনি প্রায়ই বলেন, সে সময় তিনি যদি প্রেসিডেন্ট পদে থাকতেন, তা হলে এই যুদ্ধ হতই না।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, রাশিয়ার থেকে তেল কেনা নিয়ে বার বারই ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। মস্কোকে চাপ দিতে ইতিমধ্যেই ভারতীয় পণ্যের উপর বাড়তি ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। তেল কেনা অব্যাহত রাখলে জরিমানা বাবদ আরও শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। আলাস্কায় বৈঠকের আগেও এ নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা যায় আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে। ট্রাম্পের দাবি, অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর ফলে রাশিয়া থেকে তেল কেনা থেকে তিনি ভারতকে দূরে রাখতে পেরেছেন। যদিও রাশিয়ার থেকে ভারত তেল কেনা বন্ধ রেখেছে বলে কোনও তথ্য নয়াদিল্লি থেকে প্রকাশ্যে জানানো হয়নি। বরং, ভারত সরকারের সূত্রের দাবি, রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে নয়াদিল্লি। ভারত যে নিজের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না, তা বুঝিয়ে দিয়েছে মোদী সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement