International news

রাশিয়ার বুকে এই বিশালাকার গর্তের রহস্য জানেন? পৃথিবী ধ্বংসের ইঙ্গিত!

কিন্তু তার রহস্যের নিশ্চিত সমাধান এখনও কেউ দিতে পারেননি।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৫:৫১
Share:
০১ ১৩

রাশিয়ার উত্তর সাইবেরিয়ায় আচমকাই যেন গজিয়ে উঠেছিল বিশালাকার এমন বহু গর্ত। বরফে ঢাকা সাইবেরিয়ায় কোথা থেকে উদয় হল এই গর্তগুলো?

০২ ১৩

২০১৪ সালে প্রথম হেলিকপ্টার থেকে নজরে পড়ে গর্তগুলো। রহস্যজনক এই গর্তগুলো নিয়ে গবেষণা করার জন্য তারপর থেকেই বারেবারে সেখানে ছুটে গিয়েছেন গবেষকরা। কিন্তু তার রহস্যের নিশ্চিত সমাধান এখনও কেউ দিতে পারেননি।

Advertisement
০৩ ১৩

কেউ মনে করেন, বিশালাকার উল্কা এই অংশে খসে পড়ে। তার থেকেই এমন গর্ত তৈরি হয়েছে। সময়ের সঙ্গে উল্কাগুলো ক্রমে মাটির নীচে প্রবেশ করে। এবং ওই অংশে এমন গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

০৪ ১৩

কোনও বিজ্ঞানীর অনুমান, ভিনগ্রহীদের যান নেমেছিল এই অংশে। তখন থেকেই এমন গর্ত তৈরি হয়েছে। এমন নানা মতবাদ গজিয়ে উঠেছে গর্তগুলোকে ঘিরে। তবে এখনও পর্যন্ত সঠিক কোনও দিশা দেখাতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।

০৫ ১৩

এই নানা মতবাদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে যেটা গ্রহণযোগ্য হয়েছে বিজ্ঞানীমহলে, তা হল প্রাকৃতিক গ্যাসের নির্গমন।

০৬ ১৩

একদল বিজ্ঞানীদের যেমন ধারণা, প্রচন্ড চাপে এই অংশে মাটির নীচে প্রচুর পরিমাণে মিথেন গ্যাস জমে ছিল। সাইবেরিয়ার ক্রমশ বাড়তে থাকা তাপমাত্রার জেরে ওই গ্যাসের আয়তন বৃদ্ধি পায়। ফলে চাপ বাড়তে বাড়তে একসময় জোরে বিস্ফোরণ হয়েই এই গর্তগুলো সৃষ্টি হয়েছে।

০৭ ১৩

এক একটা গর্ত ১০০ ফুট পর্যন্ত চওড়া এবং ৬০ ফুট পর্যন্ত গভীর এই অঞ্চলে। বিজ্ঞানীরা ওই সমস্ত গর্তের ভিতরে মিথেন গ্যাস উপস্থিতির প্রমাণও পেয়েছেন।

০৮ ১৩

কিন্তু বিজ্ঞাণীদের এই তত্ত্বই যদি ঠিক হয়, তাহলে সারা বিশ্বের জন্যই খুবই চিন্তার বিষয় হবে। পৃথিবী ধ্বংসের ইঙ্গিতও হতে পারে এটা! এমনটাই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

০৯ ১৩

কারণ, বিষয়টা যদি তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলেই ঘটে থাকে, তাহলে তার কারণ বিশ্ব উষ্ণায়ন। এখন বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে দ্রুত সাইবেরিয়ার উপরে জমে থাকা সমস্ত বরফ গলতে শুরু করেছে।

১০ ১৩

ওই গর্তগুলোও দ্রুত জলে ভরে যাচ্ছে। আগামী ১-২ বছরের মধ্যে জলে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। তখন আর এই গর্তগুলোর রহস্য ভেদ করার জন্য গবেষণাও চালানো সম্ভব হবে না।

১১ ১৩

পৃথিবীর বুকে জমে থাকা বরফ পরিবেশে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। কারণ এগুলো কার্বন গ্যাস শোষণ করে নেয়।

১২ ১৩

কিন্তু সাইবেরিয়ার ক্ষেত্রে ঠিক উল্টো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বাড়তে থাকা তাপমাত্রার জেরে মাটির নীচে জমে থাকা কার্বন ডাই অক্সাইড এবং মিথেন গ্যাস আরও বেশি পরিমাণে পরিবেশে মুক্ত হয়ে পড়ছে।

১৩ ১৩

এই দুটোই গ্রিনহাউস গ্যাস। গ্রিনহাউস গ্যাস পরিবেশের তাপমাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলছে এবং ফল হিসেবে আরও বেশি পরিমাণ গ্যাস পরিবেশে মুক্ত হতে সাহায্য করছে। সমগ্রিক ভাবে যার ক্ষতিকর প্রভাব ইতিমধ্যেই সাইবেরিয়ার ওই অঞ্চলে পড়তে শুরু করেছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement