International News

ডোকলাম ইস্যুতে চিন ‘কিশোর’, ভারত ‘প্রাপ্তবয়স্ক’: আমেরিকা

এখনও পর্যন্ত ভারত যা যা করেছে, যে যে অবস্থান নিয়েছে, তার সবক’টাই ঠিক। ওই বিরোধ জিইয়ে রাখার জন্য দিল্লি উস্‌কানি দিচ্ছে, বলা যাবে না। বেজিংয়ের মাত্রাছাড়া মেজাজ, ঔদ্ধত্যেরও যুতসই জবাব দিতে দেখা যায়নি দিল্লিকে। এই ইস্যুতে ভারতের আচরণ একেবারেই প্রাপ্তবয়স্কের মতো। আর চিনের আচার, আচরণ কিশোরসুলভ। বললেন মার্কিন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৭ ১৪:১৮
Share:

ডোকলাম সীমান্তে সেনা সমাবেশ।- ফাইল চিত্র।

কৈশোরে পা দিলে যেমন অল্পেতেই মেজাজ হারানোর প্রবণতা দেখা যায়, ডোকলাম ইস্যুতে চিনের আচরণটা সেই রকমই। একই ইস্যুতে ভারতের চালচলন প্রাপ্তবয়স্কের মতো।

Advertisement

ডোকলাম সীমান্তে দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও চিনের মধ্যে চলা ৫০ দিনের বিরোধ নিয়ে এটাই মূল্যায়ন মার্কিন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞের।

ডোকলাম ইস্যুতে ভারতের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে আমেরিকার ন্যাভাল ওয়ার কলেজের অধ্যাপক, বিশিষ্ট প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ জেমস আর হোমস বলেছেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত ভারত যা যা করেছে, যে যে অবস্থান নিয়েছে, তার সবক’টাই ঠিক। ওই বিরোধ জিইয়ে রাখার জন্য দিল্লি উস্‌কানি দিচ্ছে, বলা যাবে না। বেজিংয়ের মাত্রাছাড়া মেজাজ, ঔদ্ধত্যেরও যুতসই জবাব দিতে দেখা যায়নি দিল্লিকে। এই ইস্যুতে ভারতের আচরণ একেবারেই প্রাপ্তবয়স্কের মতো। আর চিনের আচার, আচরণ কিশোরসুলভ।’’

Advertisement

আরও পড়ুন- ট্যাঙ্ক ব্রেক ডাউন! প্রতিযোগিতা থেকে ‘আউট’ ভারতীয় সেনা

আরও পড়ুন- চিন-সীমান্তে সেনা বাড়িয়ে ডোকলাম নিয়ে পাল্টা চাপ

ভারত ও চিন সম্পর্কে তিনি কী ভাবে এই মূল্যায়নে পৌঁছলেন, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন হোমস। তাঁর বক্তব্য, স্থলের চেয়ে জলেই তার শক্তি-সামর্থ বাড়ানোর জন্য এখন কোমর বেঁধে নেমেছে চিন। অথচ, স্থলে তার সীমান্ত বিরোধটা বেজিং দশকের পর দশক ধরে জিইয়ে রেখেছে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিবেশী দেশটির (পড়ুন, ভারত) সঙ্গে। কিন্তু জলে নামার আগে তো স্থলসীমান্তের নিরাপত্তা পুরোপুরি সুনিশ্চিত করা উচিত ছিল চিনের!’’

আরও পড়ুন- বার্তা উত্তর কোরিয়াকে, যুদ্ধের দায় নেবে না চিন

চিনের ‘বালখিল্য আচরণ’-এর আরও কয়েকটি চিহ্ণ খুঁজে পেয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ। হোমসের কথায়, ‘‘হিমালয়ে চিনের চেয়ে ভৌগোলিক সুবিধা অনেক বেশি ভারতের। সেখানে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে নামলে চিনকে অনেক বেশি খেসারত দিতে হবে। লাভের গুড় পিঁপড়েয় খেয়ে যাবে!’’

এই বিরোধ মেটাতে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন কেন এগিয়ে আসেনি, তাও জানিয়েছেন হোমস। তাঁর কথায়, ‘‘আরও অনেক বিষয় রয়েছে আমেরিকার সামনে। এটাও হতে পারে, হিমালয়ের পার্বত্য এলাকার এই সীমান্ত বিরোধে আমেরিকা নাক গলাক, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তা চাননি। তবে ওই বিরোধ যদি আরও বাড়ে, তখন হয়তো দিল্লির সমর্থনেই এগিয়ে আসতে হবে ওয়াশিংটনকে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন