(বাঁ দিকে) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
আমেরিকায় টিকটকের ভবিষ্যৎ কী? স্পেনে আমেরিকা-চিনের বাণিজ্য বৈঠকের পর থেকেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে নানা মহলে। এ বার সেই বিষয়ে মুখ খুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে সরাসরি টিকটকের নাম নেননি তিনি। তাঁর দাবি, একটি ‘নির্দিষ্ট’ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির ফলে খুশি হবে আমেরিকার তরুণ প্রজন্ম! অনেকেরই দাবি, ট্রাম্প টিকটকের কথাই বোঝাতে চেয়েছেন।
রবিবার স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে বৈঠকে বসেছিলেন আমেরিকা এবং চিনের আধিকারিকেরা। সেই বৈঠক ভাল হয়েছে বলে দাবি করেন ট্রাম্প। তিনি তাঁর ট্রুথ সোশ্যালে আমেরিকা-চিন বৈঠক নিয়ে একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্টে লেখেন, ‘‘ইউরোপে অনুষ্ঠিত আমেরিকা এবং চিনের মধ্যে হওয়া বাণিজ্য বৈঠক ভাল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’’ তাঁর ইঙ্গিত, শীঘ্রই চুক্তিতে আসবে দুই দেশ। এর পরে ট্রাম্পের সংযোজন, ‘‘একটি ‘নির্দিষ্ট’ কোম্পানির সঙ্গেও একটি চুক্তি হয়েছে, এতে আমাদের দেশের তরুণেরা খুশি হবেন।’’ চলতি সপ্তাহেই তিনি চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান ট্রাম্প।
রবিবার স্পেনের রাজধানীতে বৈঠকে বসেছিলেন আমেরিকা এবং চিনের প্রতিনিধিরা। এই নিয়ে গত চার মাসে চতুর্থ বৈঠক করেছে আমেরিকা ও চিন। তবে আলোচনা খুব একটা এগোয়নি। বাণিজ্য এবং শুল্ক নিয়ে সংঘাত এখনও সেই তিমিরেই রয়েছে। তবে ট্রাম্প আশাবাদী, শীঘ্রই সেই জট কাটবে।
গত বছর টিকটক নিষিদ্ধ করে মার্কিন কংগ্রেসে একটি আইন পাশ হয়েছিল। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর প্রথমে ৭৫ দিনের জন্য তা স্থগিত করে দেন। পরে সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয় আরও ৯০ দিন। অনেকেরই দাবি রবিবারের বৈঠকে টিকটক নিয়ে স্থায়ী সমাধান সূত্রে পৌঁছোতে চেয়েছিল দুই দেশই।
মাদ্রিদের আগে আমেরিকা এবং চিনের আধিকারিকেরা বৈঠকে বসেছিলেন সুইডেনের রাজধানী স্টকহলমে। সেখান থেকেই দুই দেশের শুল্ক সংঘাতে ৯০ দিনের বিরতি ঘোষণা করা হয়। যে কারণে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনায় আমেরিকা ভারতের পণ্যে চড়া শুল্ক (৫০ শতাংশ) আরোপ করলেও চিনের বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি। চিন রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হওয়া সত্ত্বেও নয়। আমেরিকা যুক্তি দিয়েছিল, চিন রাশিয়া থেকে যে তেল কেনে, তা পরিশোধন করে ইউরোপের বাজারে বিক্রি করে। তাই চিনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করলে সমগ্র ইউরোপে তেলের দাম এক লাফে বেড়ে যাবে। আমেরিকার এই নীতি নানা মহলে সমালোচিত হয়েছে। সেই আবহে আবার দুই দেশ বৈঠকে বসে। ট্রাম্পও আশাবাদী বাণিজ্যচুক্তি বিষয়ে।