Thailand-Cambodia Border Conflict

‘যুদ্ধ না-থামালে বাণিজ্য নয়’, তাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়াকে সতর্ক করলেন ট্রাম্প! টানলেন ভারত-পাক সংঘর্ষের প্রসঙ্গও

দু’দেশকেই সংঘাত এড়ানোর বার্তা দিয়েছে বহু দেশ। এর মধ্যে কম্বোডিয়ার তরফে একতরফা ভাবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করা হলেও তাইল্যান্ড তাতে রাজি হয়নি বলেই খবর। এ বার আসরে নামলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৫ ২২:০০
Share:

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

তাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্তবিরোধ থামাতে এ বার আসরে নামলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেই ফোনে কথা বলেছেন তিনি। দু’জনকেই যুদ্ধবিরতির পথে হাঁটার বার্তা দিয়েছেন বলে দাবি করেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে তিনি এ-ও জানান, যদি তাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়া যুদ্ধ বন্ধ না-করে, তবে তাদের কারও সঙ্গেই আর আমেরিকা বাণিজ্যচুক্তিতে যাবে না। যুদ্ধবিরতির কথা বলতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট টেনে এনেছেন ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষের প্রসঙ্গও।

Advertisement

ট্রুথ সোশ্যালের এক পোস্টে কম্বোডিয়ার প্রেসিডেন্ট হুন মানেতের সঙ্গে ফোনে কথা বলার বিষয়টি জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘‘তাইল্যান্ডের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করার বিষয়ে কম্বোডিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা হয়েছে।’’ শুধু তা-ই নয়, একই প্রসঙ্গে তাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাইয়ের সঙ্গেও কথা বলার কথাও উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প।

এখানেই থেমে থাকেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি দাবি করেন, ‘‘বর্তমানে আমরা উভয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করছি। যদি তারা যুদ্ধ করে তবে কোনও দেশের সঙ্গেই বাণিজ্যচুক্তি করতে চাই না। আমি তাঁদের (দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী) সেই কথা বলেছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি পরিস্থিতি সহজ করার চেষ্টা করছি। এই যুদ্ধে অনেক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। শেষে তাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার সীমান্তবিরোধের সঙ্গে ভারত-পাক সংঘর্ষ পরিস্থিতির তুলনা টেনেছেন ট্রাম্প। তাঁর কথায়, ‘‘এটি (তাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তবিরোধ) আমাকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে হওয়া সংঘাতের কথা মনে করিয়ে দেয়, যা সফল ভাবে বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে।’’ উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রথম থেকেই দাবি করে আসছেন সাম্প্রতিক সময়ে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে সীমান্ত অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছিল, তা তিনি উদ্যোগ নিয়ে থামিয়েছেন। দুই দেশকেই বাণিজ্য বন্ধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে পাকিস্তান ট্রাম্পের সুরে কথা বললেও ভারত মধ্যস্থতার অস্বীকার করেছে।

Advertisement

তাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষের শনিবার তৃতীয় দিনে পড়েছে। বুধবার রাতে সীমান্তে কম্বোডিয়া সেনার গোলাবর্ষণ এবং তার জবাবে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে তাইল্যান্ড বায়ুসেনার এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের প্রত্যাঘাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। এখনও পর্যন্ত দু’তরফের ৩০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। যাঁদের অধিকাংশই সাধারণ নাগরিক। দু’দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলি থেকে লক্ষাধিক মানুষ ঘড়ছাড়া হয়েছেন।

দুই দেশকেই সংঘাত এড়ানোর বার্তা দিয়েছে বহু দেশ। এর মধ্যে কম্বোডিয়ার তরফে একতরফা ভাবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করলেও তাইল্যান্ড তাতে রাজি হয়নি বলেই খবর। রাষ্ট্রপুঞ্জে কম্বোডিয়ার দূত চেয়া কেও শুক্রবার রাতে (ভারতীয় সময় অনুযায়ী) বলেন, ‘‘নিঃশর্তভাবে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চেয়েছে এবং আমরাও বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছি।’’ কিন্তু রণে ভঙ্গ দিতে রাজি নয় তাইল্যান্ড। শনিবার ব্লুমবার্গ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, স্থল এবং আকাশপথের হামলার পরে এ বার তাইল্যান্ডের নৌসেনাও যুদ্ধে নেমে পড়েছে। অনেকে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘায়িত যুদ্ধের আশঙ্কা করছেন। এই আবহে এ বার যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানিয়ে বার্তা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement